ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

স্বর্ণ ও অস্ত্র মামলায় দুই আসামির ২৫ বছরের কারাদণ্ড

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার

যশোরে স্বর্ণ চোরাচালান ও অস্ত্র মামলায় দুই আসামির পৃথক মেয়াদে সাজা দিয়েছে আদালত। 

বুধবার ওই দুই আসামির সাজা প্রদান করে পৃথক দু’আদালত। 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, বেনাপোল পোর্ট থানার চেকপোস্ট এলাকার (সাদীপুর) মৃত আবুল হাসেমের ছেলে মোমিন চৌধুরী ও বেনাপোল ভবেরবেড় গ্রামের শফি মোড়লের ছেলে মেহের আলী।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিকালে বিজিবি সদস্যরা খবর পান বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে এক ব্যক্তি সাদিপুর বেলতলা এলাকা দিয়ে যাবে। তাৎক্ষণিক একটি টহল টিম বেলতলায় অবস্থান নেয়। সন্ধ্যার পর মোমিন চৌধুরীকে একটি বাইসাইকেলে আসতে দেখে সন্দেহ হয় তাদের। বিজিবি সদস্য দেখে মোমিন সাইকেল ফেলে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। 
পরে তার কাছ থেকে ৪৯ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়। যার দাম দু’কোটি ৭৯ লাখ টাকা। 

এ ঘটনায় বেনাপোল বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক হাওলাদার নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক জাকির হোসাইন মোমিনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। 

বুধবার রায় ঘোষণার দিনে বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ নাজমুল আলম মোমিনকে আট বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন।

এছাড়া, পৃথক আরেকটি মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যশোরের ডিবি পুলিশের কাছে খবর আসে মেহের আলী নিজ এলাকায় অস্ত্র নিয়ে অবস্থান করছেন। বিকেল চারটায় তারা সেখানে অভিযান চালিয়ে মেহেরকে আটক করে। পরে মেহেরের স্বীকারোক্তিতে তারই ঘর থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। 

এ ঘটনায় ডিবির এসআই ইউনুস আলী মেহের আলীর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের পৃথক দুটি ধারায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৩ সালের ২৭ ফেব্রæয়ারি ডিবির এসআই আবুল খায়ের মোল্লা আদালতে মেহের আলীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। 

আজ এ মামলার রায় ঘোষণার দিনে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৫ম আদালতের বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯ এর এ ধারায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অস্ত্র আইনের ১৯ এফ ধারায় আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

দুই আসামিকে পৃথক আদালত সাজা প্রদান করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এএইচ