গাজার আরেক হাসপাতালে বোমা হামলা
দুলি মল্লিক
প্রকাশিত : ০৯:৫৪ এএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
গাজার হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলায় ৫শ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার একদিনের মধ্যে ফের আরেকটি হাসপাতালে হামলা। এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠলেও বরাবরের মতো ইসরায়েলের পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েল সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হামলার জন্য অন্যপক্ষকে দায়ী করেন।
এ হামলার ঘটনায় ইসরায়েলের ওপর তেল রপ্তানীতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জোরালো হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যে দেশগুলোতে। এদিকে শুধু মানবিক সহায়তার জন্য সীমান্ত খুলে দিয়ে রাজি হয়েছে মিশর।
গাজার আল আহলি আরব হাসপাতালে ভয়াবহ বিমান হামলায় ৫ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় পুরো বিশ্ব যখন শোকে বিহ্বল, তখনও হামলা বন্ধ করেনি ইসরায়েল। মাত্র একদিনের মধ্যেই ফের আরেকটি হাসপাতালে হামলা চালায় ইসরায়েলী বাহিনী।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েল সফরের কয়েক ঘণ্টা আগেই আল আহলি আরব হাসপাতালে ওই ভয়াবহ হামলা হয়। এ ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যসহ পুরো বিশ্বে নিন্দার ঝড় উঠে।
তবে বাইডেন তার মিত্র দেশ ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষেই সাফাই গান। তেল আবিবে পৌঁছানোর পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে ইসরায়েলের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তবে গাজার মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা ঘোষণা করেন তিনি।
আলোচনা হয় মিশরের রাফাহ সীমান্ত খুলে দেয়া নিয়ে। মিশর সাফ জানায়, আর কোনো শরণার্থী নিতে রাজি নয় তারা। তবে প্রতিদিন ২০ ট্রাক করে মানবিক সহায়তার জন্য সীমান্ত খুলে দেয়ার জন্য রাজি হয়।
জাতিসংঘ বলছে, গেল ১৩ দিনের সংঘাতে বাস্তচুত ১০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এসব শরণার্থীদের জন্য প্রতিদিন অন্তত ১০০ ট্রাক মানবিক সহায়তা প্রয়োজন বলে জানায়।
এদিকে হামলার ঘটনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ অব্যাহত। জরুরি বৈঠক করে ইসলামি সহযোগী সংস্থা অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশন- ওআইসি। এসময় টানা হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানায় ইরান।
এএইচ