ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সন্দ্বীপের সাবেক সাংসদ মুস্তাফিজুর রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২০ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার

সন্দ্বীপের সাবেক সংসদ সদস্য, রূপালী লাইফ ইনসিওরেন্স কোং লিঃ-এর প্রতিষ্ঠাতা দ্বীপবন্ধু মুস্তাফিজুর রহমানের ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ২০০১ সালের ২০ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
 
তিনি ১৯৪৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্দ্বীপ উপজেলার বাউরিয়া ইউনিয়নের কুচিয়ামোড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বিবি আমেনা এবং পিতা মৌলভী হাবিবুর রহমানের একমাত্র পুত্র। 

মেধাবী ছাত্র হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষাজীবনে সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। তিনি সন্দ্বীপের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজী বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে মাধ্যমিক মেট্রিক পাশ করেন। এরপর ১৯৬৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। 

শিক্ষা জীবন শেষ করে তিনি ১৯৬৫ সালে তৎকালীন ইউনাইটেড ব্যাংকে কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে যা জনতা ব্যাংকরূপে আত্নপ্রকাশ করে। ১৯৮৩ সালে ন্যাশনাল ব্যাংক প্রতিষ্ঠায় তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ব্যাংকিং কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ কমার্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড(বিসিআই) প্রতিষ্ঠা করেন। যা বর্তমানে বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক নামে আত্মপ্রকাশ করেছে। এছাড়া ও তিনি রূপালী ইন্স্যুরেন্স এর প্রতিষ্ঠাতা এবং স্পেশাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সন্দ্বীপের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনে তিনি রূপালী লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্স, সন্ধানী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, রূপালী ইন্স্যুরেন্স এবং বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকসহ বহু আর্থিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। 

পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি তিনি বহু-সামাজিক সাংষ্কৃতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি দৈনিক রুপালী, সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ, সাপ্তাহিক স্বদেশ খবর, ব্যাংকার, প্রিয় খেলা, চোখে চোখে, গোলাপী, দি উইকলি বাংলাদেশ, নিউজ উইকসহ কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ছিলেন এগুলোর সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জনসেবার ব্রত নিয়ে সন্দ্বীপে অসংখ্য স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, সাইক্লোন সেন্টার ও একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর কারণে সন্দ্বীপের সর্বত্রই উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছিল।  তিনি নিয়মিতভাবে কয়েক বছর সন্দ্বীপে চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে গরীব অসহায় ৩২৮ জন রোগীর চোখের দৃষ্টি দান এবং প্রায় ২০ হাজার রোগীর চিকিৎসা করান। অন্ধত্ব মোচনের সাথে সাথে বিনামূল্যে চশমাও বিতরণ করেন। চক্ষু শিবির নামে এই কর্মসূচিটি তার জীবদ্দশায় অনেকবার পরিচালিত হয়েছিল। 

এছাড়াও সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন, কোরআনখানি, এতিমখানায় খাবার বিতরণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। 

কেআই//