ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২২ ১৪৩১

সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে এনায়েতপুরে শোকের ছায়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার

মাদারীপুর-৩ (সদর ও কালকিনি) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন মারা গেছেন। বুধবার ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকা সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে শোক বিরাজ করছে। শোকে বিহবল উপমহাদেশের প্রখ্যাত ইসলাম প্রচারক, সুফি সাধক, হযরত খাজা বাবা ইউনুস আলী এনায়েতপুরী রঃ এর পাক দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন পীর শ্বশুর খাজা কামাল উদ্দিন নুহু মিয়াসহ পুরো পরিবার। তার স্মৃতি বিজরিত পুরো দরবার শরীফসহ এখানে নিজ বাড়ির এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা।

মানবতাবাদী দেশ প্রেমিক সৈয়দ আবুল হোসেনের মৃত্যুতে খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সাবেক মন্ত্রী সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা সাইদুল ইসলাম, এনায়েতপুর হাট বনিক সমিতির সাবেক সভাপতি মির্জা ছানোয়ার হোসেন বাচ্চু, সামাজিক সেবা সংগঠন একুশে ফোরাম, গভীর শোক প্রকাশ করে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

তারা বলেছেন, সৈয়দ আবুল হোসেন আমাদের পরম প্রিয় মানুষ ছিলেন। তিনি দেশজুড়ে নানাভাবে যেমন উন্নয়ন, অগ্রগতিতে ভুমিকা রেখেছেন। তেমনি শ্বশুরবাড়ি এলাকা এনায়েতপুর তথা সিরাজগঞ্জ জেলাকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়েছেন। এনায়েতপুর থানা প্রতিষ্ঠা, সয়দাবাদ-এনায়েতপুর পৃথকলেন রাস্তা নির্মাণ সহ এ অঞ্চলের মানুষকে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছেন। তার মৃত্যুতে জাতি একজন সৎ আদর্শবান রাজনৈতিক দেশ প্রেমিককে হারালো। যা কখনো পূরণ হবার নয়। আমরা তার বিদেহী আত্মার শাস্তি কামনা করছি।

সৈয়দ আবুল হোসেনের শ্বশুর বাড়িই শুধু এনায়েতপুরে নয়, নিজের থাকার জন্যও এখানে আলাদা বাড়ি করেছেন তিনি।

বছরে কয়েকবার তিনি এনায়েতপুরে আসতেন ও মানুষের খোঁজ খবর নিতেন। যেকারো প্রয়োজনে থাকতেন পাশে। তাই তার মৃত্যুর খবরে সকলের মাঝে শোক ছড়িয়ে পড়েছে।

এদিকে সৈয়দ আবুল হোসেনের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তার দুই মেয়ে আমেরিকা থেকে আসলে জানাজা ও দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।      

উল্লেখ্য, সৈয়দ আবুল হোসেন ১৯৫১ সালে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার ডাসার ইউনিয়নের বেতগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। সৈয়দ আবুল হোসেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে ১৯৯১ সালে পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

এরপর তিনি সপ্তম, অষ্টম ও নবম সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৯ থেকে ২০১২ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
কেআই//