জয়-পরাজয়ের রহস্য
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:০০ পিএম, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার
আসলে আপনি যা ভাববেন আপনি তাই। অতএব এই ভাবনাটাকে কখনো নেতিবাচক কিছু দিয়ে দূষিত করবেন না। ভাবনার দূষণ হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ। কারণ ভাবনা দূষিত হয়ে গেলে সবকিছু দূষিত হয়ে যায়! বিশ্বাস দূষিত হয় এবং বিশ্বাস দূষিত হলে আপনি দূষিত হয়ে যান।
অতএব ভাবনার যেহেতু এত ক্ষমতা প্রভু আপনাকে দিয়েছেন এই ভাবনাটাকে দূষিত করবেন না। সফল বিশিষ্টজনরা বলে গেছেন আপনি সফল হবেন না ব্যর্থ হবেন আলোকোজ্জ্বল দীপ্যমান হবেন না নিষ্প্রভ হবেন প্রদীপ শিখার মতো জ্বলজ্বল করবেন না টিমটিম করতে করতে নিভে যাবেন নক্ষত্র হবেন না উল্কাভস্ম হবেন সবটাই নির্ভর করে আপনার ভাবনার ওপরে।
বায়ু দূষণ ঠিক করা সহজ পরিবেশের দূষণ ঠিক করা সহজ কিন্তু ভাবনার দূষণ ঠিক করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তো অতএব ভাবনাকে দূষিত হতে দেবেন না। বিশ্বাসকে দূষিত হতে দেবেন না। ভাবনা পরিষ্কার স্বচ্ছ বিশ্বাস স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ যে, আমি বিশ্বাস করি। দ্যটস অল। আমার আর কোনোকিছুর প্রয়োজন নাই। আপনার কারো সাথে কোনো বিতর্কের প্রয়োজন নাই, কারো সাথে কিছুর প্রয়োজন নাই।
ব্যর্থতা বা সাফল্য নির্ভর করে রণভূমিতে না মনভূমিতে…
কেউ যদি বলে যে যুক্তি! ভালবাসার কি যুক্তি আছে? মজনুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, তুমি এরকম সুপুরুষ, তুমি লাইলীর মধ্যে কী পেলে? মজনু বলেছিল যে, দেখ লাইলীর সৌন্দর্য বুঝতে হলে তোমাকে মজনু হতে হবে। তাহলে তুমি লাইলীর সৌন্দর্য বুঝতে পারবে। তো অতএব বিশ্বাস করার আগে যে যত খুশি মানে চিন্তা করবেন কিন্তু একবার যখন বিশ্বাস করলেন এটাকে দূষিত করবেন না। স্ফটিক স্বচ্ছ রাখবেন। যে বিশ্বাসে কোনো খাদ নাই।
বিশ্বাস কখনো আংশিক হয় না। মৃত্যুর পরেও বিশ্বাস থাকলে আপনি দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন। সোলেমান (আ) তার কাজ শেষ না করে মারা যেতে চান নি। তিনি মারা গেছেন কিন্তু যারা কাজ করছে তারা টের পায় নি দাঁড়িয়েই আছেন। অবশ্য এটা থেকে একটা শিক্ষণীয় যে লিডারের দাঁড়িয়ে থাকা খুব ইম্পর্টেন্ট। তাহলে কর্মীদের কাজের গতিটা অনেক সুন্দর হয় ভালো হয়। যিনি কাজ করাবেন তার অগ্রগামী হওয়াটা ইম্পর্টেন্ট। তার নিজে কাজ করাটা ইম্পর্টেন্ট। তার নিজের উপস্থিতিটা ইম্পর্টেন্ট তাহলে কাজটা সুন্দর হয় দ্রুত হয় ভালো হয়।
তো আসলে জয় পরাজয় ব্যর্থতা সাফল্য সবটাই নির্ভর করে রণভূমিতে না মনভূমিতে। এই মনভূমিটাকে আমরা কর্ষণ করতে চাই। এখানে আগাছা আমরা দেখতে চাই না আগাছা আমরা রাখতেও চাই না।
আপনার ব্যর্থতার কারণ
হরিণের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে, নিজের শক্তির ব্যাপারে তার আস্থা নাই। হরিণের গতি হচ্ছে ঘণ্টায় ৭০ কিলোমিটার আর বাঘের গতি হচ্ছে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। তারপরও হরিণ বাঘের হাতে ধরা খায় কেন? কারণ হরিণ মাঝেমাঝে খালি পেছন দিকে তাকায় এই ধরল বুঝি এই ধরল বুঝি! যতবার পেছনে তাকায় ততবার তার গতি ব্যাহত হয়। সে কিন্তু দৌড়ে চলে গেলেই হয়।
আমাদেরকে আমাদের আকলটাকে কাজে লাগাতে হবে। আমাদের যে ক্ষিপ্রতা হরিণের যে ক্ষিপ্রতা আমাদের সম্পদ আছে আমাদের গতিও আছে শুধু গতিটা থামানো যাবে না। পেছনে তাকানোর কোনো প্রয়োজন নাই। বাঘ কোনোদিন ধরতে পারবে না, যদি আমি সামনে তাকিয়ে দৌড় দেই।
ন্যাচারালি আমরা চাইব যে, সমস্ত মানুষ শুধু আশাবাদী না, পরিপূর্ণ বিশ্বাসী হয়ে উঠুক আমাদের সম্ভাবনায়।
কেআই//