গাজায় ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জাতিসংঘের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:০৫ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার
ইসরায়েল-হামাস লড়াইয়ের ২১তম দিনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ গাজায় ‘অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি’ পালনের আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার সাধারণ পরিষদের বৃহৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ এই আহ্বান জানায়। এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, তারা গাজায় স্থল অভিযান জোরদার করেছে। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, যুদ্ধবিরতি পালনে উত্থাপন করা এই প্রস্তাবের পক্ষে ১২০ ভোট, বিপক্ষে মাত্র ১৪টি ভোট পড়ে এবং জাতিসংঘ সদস্যভূক্ত ৪৫টি দেশ ভোটদানে বিরত ছিল। এটি একটি নন-বাইন্ডিং প্রস্তাব ছিল।
ইসরায়েল ক্ষোভের সাথে এই পদক্ষেপ প্রত্যাখান করে বলেছে, দেশটি হামাসকে মোকাবেলায় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন তার সবকিছুই করবে।
ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান পরিষদকে বলেন, ‘আজ এমন একটি দিন যা কুখ্যাতিপূর্ণ দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। আমরা সকলে লক্ষ্য করেছি যে, জাতিসংঘের আর বিন্দুমাত্র বৈধতা নেই।’
তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল নিজের দেশকে রক্ষা করা অব্যাহত রাখবে। হামাসের অপকর্ম থেকে বিশ্বকে পরিত্রাণ দিতে আমরা আমাদের ভবিষ্যত, আমাদের অস্তিত্ব রক্ষা করবো যাতে এই জঙ্গি গ্রুপ আর কাউকে হুমকি দিতে না পারে।’
এদিকে হামাস জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে।
হামাস এবং ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ শুক্রবার গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে দেওয়া জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবকে স্বাগত জানায়। এমন এক সময় এই প্রস্তাব দেওয়া হলো যখন ইসরাইল ৭ অক্টোবর চালানো হামাসের হামলার জবাব দিতে ফিলিস্তিনে তাদের অভিযান জোরদার করেছে।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বেসামরিক নাগরিকদের জন্য জ্বালানি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে অবিলম্বে এর বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।’
প্রতিদ্বন্দ্বী ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে, ইসরায়েলের প্রচারাভিযান ‘বর্বরতার নতুন শিখরে পৌঁছেছে।’ সেখানে ইসরায়েলের লাগাতার আগ্রাসন উপেক্ষা করে এই প্রস্তাব ছিল ‘একটি দৃঢ় আন্তর্জাতিক অবস্থান।’
খবরে বলা হয়, ২২টি আরব দেশের নামে জর্ডানের উত্থাপন করা এই প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে, দীর্ঘমেয়াদী এবং টেকসই মানবিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছে যা শত্রুতা বন্ধে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।’
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে চালানো হামাসের ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ১,৫০০ জন নিহত হয়েছে। হামাসের হামলায় নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রথম দিনে তাদের নির্বিচারে গুলি করে ও পুড়িয়ে মারা হয়। এছাড়া তারা ২২০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করে।
গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে গাজায় চালানো ইসরায়েলের হামলায় ৭,৩২৬ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে। এদের বেশিরভাই বেসামরিক নাগরিক।
এএইচ