বঙ্গবন্ধু টানেলে যান চলাচল শুরু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০৯ এএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ রবিবার
যান চলাচলে জন্য খুলে দেয়া হলো বঙ্গবন্ধু টানেল। ভোর ছয়টা থেকে টানেলটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই অপেক্ষা করতে থাকে বেশ কিছু যান। ছয়টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে ২৫০ টাকা টোল দিয়ে প্রথম টানেলে ঢুকে একটি মাইক্রোবাস।
টানেলে চলতে পারবে ১২ ক্যাটাগরির যানবাহন। এজন্য সর্বনিম্ন টোল দুশো টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে চলাচল করতে পারবে না মোটরসাইকেল বা তিন চাকার যান।
টোল আদায়ে আনোয়ারা প্রান্তে ১৪টি বক্স বসানো হয়েছে। টানেলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলতে পারবে। সেতু বিভাগের পূর্বাভাস অনুসারে, চালুর পর প্রথম বছরে প্রতিদিন এই টানেল পার হবে ১৭ হাজার ৩৭৪টি গাড়ি। যার মধ্যে ৩ হাজার ২১৮টি ভারী যান। ২০২৫ সালে প্রতিদিন পার হওয়া যানবাহনের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৮ হাজার ৩০৫টিতে।
এর আগে শনিবার (২৮ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সেখানে আয়োজিত সমাবেশে যোগ দেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু টানেল চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা থেকে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সাগর উপকূল ঘিরে শিল্পের নতুন দুয়ার খুলে গেছে। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসের সাক্ষী হলো চট্টগ্রামবাসী।
তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেল নিয়ে বাড়তি উচ্ছ্বাস অর্থনীতি ও যোগাযোগ খাতে। কেননা, এতে করে নদীর দক্ষিণাংশে শিল্পায়ন, রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের দূরত্ব কমে আসা, পর্যটনখাতের বিকাশ, গভীর সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক পণ্য আনা নেয়া, এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কসহ নানা ক্ষেত্রে বড় এক সম্ভাবনার দুয়ার খুলে গেছে।
এই টানেল শুধু অভ্যন্তরীণ সুবিধাই বাড়াবে না, বহির্বিশ্বে জানান দেবে বাংলাদেশের নির্মাণ সক্ষমতারও। এতে সম্ভাবনা জাগছে অন্যান্য নদীর তলদেশে নতুন টানেল নির্মাণের। তাই এখন বঙ্গবন্ধু টানেলের সুফল সার্বিকভাবে পেতে আরও কিছু অবকাঠামো সুবিধা বাড়ানোর ওপর দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
বঙ্গবন্ধু টানেলের মেয়াদ হবে অন্তত একশ বছর। যা প্রথম পাঁচবছর রক্ষণাবেক্ষণ করবে চীনা প্রতিষ্ঠান। এরপর প্রশিক্ষণ আর রক্ষণাবেক্ষণ সক্ষমতা অর্জনের মাধ্যমে তার পরিচালনার দায়িত্ব নেবে বাংলাদেশ। এই টানেলের কারণে জিডিপি হওয়ার কথা প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ।
এমএম//