অক্টোবরে এল প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৬ পিএম, ১ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার
বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত, গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে ফের উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে বড় ধসের পর অক্টোবর মাসও শুরু হয়েছিল সেই পতনের ধারায়। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত প্রায় ২০০ কোটি (২ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
বুধবার (১ নভেম্বর) রেমিটেন্স প্রবাহের অক্টোবর মাসের যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, সদ্য সমাপ্ত অক্টোবর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ ৬০ হাজার (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এই অঙ্ক চার মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। আর গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ২৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেশি। আগের মাস সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি ৪৮ দশমিক ২০ শতাংশ।
গত সেপ্টেম্বরে ১৩৩ দশমিক ৪৪ কোটি (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসাবে যা ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম। ২০২২ সালের অক্টোবরে এসেছিল ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ (১.৫২ বিলিয়ন) ডলার।
২০২০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশে দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় লকডাউন; সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কমতে শুরু করে রেমিটেন্স। সেই ধাক্কায় ২০২০ সালের মার্চে রেমিটেন্স ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে আসে। এপ্রিলে তা আরও কমে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলারে নেমে আসে। এর পর থেকে অবশ্য রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সে সরকারের বিদ্যমান প্রণোদনার বাইরে গত ২২ অক্টোবর থেকে আরও আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো সরকার রেমিটেন্সে ২ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে ২ টাকা ৫০ পয়সা বা আড়াই টাকা যোগ করে তার পরিবার-পরিজনকে (যার নামে প্রবাসী টাকা পাঠান) ১০২ টাকা ৫০ পয়সা দেওয়া হয়।
২২ অক্টোবর থেকে ১০২ টাকা ৫০ পয়সার সঙ্গে আরও আড়াই টাকা অর্থাৎ মোট ১০৫ টাকা পাবেন।
এদিকে ডলারের দর আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে ব্যাংকগুলো। বুধবার থেকে রেমিটেন্স ও রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে প্রতি ডলার ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় কিনে আমদানিকারকদের কাছে ১১১ টাকায় বিক্রি করবে ব্যাংকগুলো। এত দিন ১১০ টাকায় ডলার কিনে সর্বোচ্চ ১১০ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হতো।
এমএম//