ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনে জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৬ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০২৩ সোমবার

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মুখোশ উন্মোচনে স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেন, আমরা জানতে চাই ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে জিয়াউর রহমানের প্রকৃত ভূমিকা। কীভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে তা জানার জন্য একটি স্বাধীন জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার।

রোববার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে এক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগ এ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করে।

শেখ পরশ বলেন, যতদিন বিএনপি-জামাত অবরোধ দিবে, যতদিন নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করবে, ততদিন আমরা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথেই থাকবো। আমরা বার বার দাবি তুলেছি এই সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। তাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আসল পরিচয় জানা জনগণের এবং আজকের প্রজন্মের অধিকার। এই অধিকার আমাদেরকে দিতে হবে। জিয়াউর রহমানের প্রকৃত মুখোশ উন্মোচিত হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আর অপশক্তি বলে টেকব্যাক বাংলাদেশ। সুতরাং আমরা পেছনের দিকে যেতে চায় না, আমরা সামনের দিকে ধাবিত হচ্ছি এবং এই সামনের অগ্রযাত্রাই চলমান থাকবে বাংলাদেশে। যতদিন পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এদেশে বিরাজমান ততদিন এই সকল অপশক্তি কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তারাও রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে এসেছিল। এসে এদেশে জঙ্গিবাদের আবির্ভাব ঘটিয়েছে। এ দেশের মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলোকে চরম অপমান ও অবমাননা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের হাতে পতাকা তুলে দিয়ে। আর সেই পেছনের দিকে ফিরে যেতে চাই না, তারা আজকে ঘরে শান্তিতে ঘুমাচ্ছে দেশের উন্নতি-অগ্রগতি আপনাদের চোখের সামনেই বিরাজমান। 

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, শুধু ঢাকা শহরের চেহারা দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন কারা এদেশে প্রকৃত উন্নত করে। আর সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কারা যারা ’৭৫-এর একটি নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধান ও নারী-শিশু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। সেই সকল অপশক্তির কাছে এদেশের জনগণ আর ক্ষমতা হস্তান্তর করবে না। তারা মিথ্যাচার আর অপপ্রচার করে এদেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। শহীদদের অবমাননা করেছিল। আমাদের ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে যে লাখ লাখ মানুষ দেশের জন্য জীবন দিয়েছিল সেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তারা নিষিদ্ধ করেছিল। সুতরাং তাদের পরিচয় এদেশের জনগণ তখন বোঝে। তারা তো এদেশে ধ্যান-ধারণাতে বিশ্বাস করে না। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নামে তারা তাদের সন্ত্রাসী রূপ উন্মোচিত করেছে, তাদের প্রতারকের মুখোশ উন্মোচিত করেছে।

এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড, ঢাকা-১৭ সংসদীয় আসনে মহাখালী কাঁচা বাজার ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রিজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনির আখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে ও ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে সংসদীয় আসনভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

অন্যান্য সংসদীয় আসন ভিত্তিক কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাড. মামুনুর রশীদ, হাবিবুর রহমান পবন, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বদিউল আলম, মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মো. জহির উদ্দিন খসরু, মো. সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মো. শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মো. আব্দুল হাই, উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, উপ-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদুল হাসান সুপ্ত, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. গোলাম কিবরিয়া শামীম, উপ-ধর্ম সম্পাদক হরে কৃষ্ণ বৈদ্যসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতারা।

কেআই//