নৈরাজ্য-সহিংসতা না হলে আরও এগিয়ে যেতো দেশ (ভিডিও)
দুলি মল্লিক
প্রকাশিত : ১১:১৮ এএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ১১:২১ এএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার
বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের বড় বাধা সহিংসতা ও অপপ্রচার। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা এর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার কর্মকাণ্ডকে দায়ী করে বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্য ও সহিংসতা না করলে আরও এগিয়ে যেতে পারতো দেশ।
২৮ অক্টোবর, দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে উন্মোচিত হয় নদীর তলদেশে যোগাযোগ পথ- বঙ্গবন্ধু টানেল। ওইদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই টানেলের ফলক উন্মোচন করেন।
দেশের ইতিহাসের গৌরবময় এমন দিনেও রাজধানী ঢাকায় সহিংসতায় লিপ্ত ছিল বিএনপি-জামায়াত। পুলিশ সদস্যকে হত্যা, যানবাহন ভাংচুর ও অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেয়ার মতো নৈরাজ্য চালায় তারা। যা দেশের চলমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে বড় বাধা।
“সহিংসতা ও ভুল তথ্য: বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রতিবন্ধকতা” শীর্ষক ওয়েবিনারে- এমনটাই বলেন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। বিশিষ্ট লেখক ড. নুরুন নবীর সভাপতিত্বে ওই ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক এবিএম নাসির, অধ্যাপক আবদুর চৌধুরী, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন, সেথ ওল্ডমিক্সন ও ড. মাজহারুল ইসলাম রানা।
পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি টানেল ও মেট্রো রেলের মতো বড় অবকাঠামোগত উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে বক্তারা ১৫ বছর ধরে একটি সরকারের ধারাবাহিক কৃতিত্ব তুলে ধরেন। জানান, প্রতিবন্ধকতার কথাও। বলেন, কিভাবে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে এবং ধর্মকে ব্যবহার করে বিএনপি-জামায়াত চক্র রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি চেষ্টা করছে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক ক্রিস ব্ল্যাকবার্ন- এই নৈরাজ্যের জন্য লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সরাসরি দায়ী করেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এই বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরেক বিশ্লেষক সেথ ওল্ডম্যাক্সনও সামাজিক মিডিয়া ও অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বাংলাদেশে সহিংসতা উস্কে দেয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন।
বিশ্বের পরবর্তী শীর্ষ দশটি প্রতিশ্রুতিশীল অর্থনীতির দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করাই যেখানে কঠিন, সেখানে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্য ও সহিংসতা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় বলেও উল্লেখ করেন বক্তারা।
এএইচ