ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘যে সংগঠন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী নয় তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৩১ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৬:৩২ পিএম, ৮ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার

বিএনপি-জামাত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও  দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। 

উক্ত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বেলা ১১ টায় ঢাকা-৯ আসনের খিলগাঁও বিশ্বরোড, সবুজবাগ, মায়াকাননে (রমনা চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এর নীচে) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নরসিংদী জেলায় অনুষ্ঠিতব্য মহাসমাবেশকে সফল করার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

ঢাকা-৯ আসনের অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, সঞ্চালনা করেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, শেখ হাসিনার আদর্শের কর্মী হিসেবে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে, সাধারণ মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে অবৈধ অবরোধের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধতা। যে দিন বিএনপি-জামাত এই অবৈধ অবরোধের ডাক দিয়েছে তার পর থেকে আমরা এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছি। বিএনপি শুধু অবৈধ সংগঠনই না, তার উৎপত্তিই হয়েছে হত্যা, ক্যু এবং বিভিন্ন ন্যাক্কারজনক ধ্বংসাত্মক কর্মকা-ের মাধ্যমে এরা কোন প্রকৃত রাজনৈতিক সংগঠন না, এদের মূল উদ্দেশ্যই এদেশের জনগণের ক্ষতিসাধণ করা। ১৯৭১ সালে আমরা দেখেছি জামাত, আল বদর, আল শামস, রাজাকারদের তারা কি ভূমিকা রেখেছে এদেশের জনগণের বিরুদ্ধে, তাদের অবস্থান আমরা জানি।

১৯৭৮ সালে বিএনপির সৃষ্টির পর থেকে আমরা দেখে আসছি তারা হত্যা, গুম, বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মাধ্যমে এদেশের জনগণকে ভিকটিম বানায়, জনগণকে তাদের হত্যা নৈরাজ্যের শিকার বানায়। এগুলো ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বাঙালিদের কাছে পরাজিত হওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার মত ঘটনা। তারা সেটাই করে আসছে। আজকেও দেখতেছেন তারা কিভাবে সাধারণ মানুষের জানমালের ধ্বংস সাধণ করছে, বাসে অগ্নিসংযোগ করে তাদের জীবনকে ঝুকির সম্মুখিন করছে। যারা জনগণের সম্পত্তি ধ্বংস করে তারা তো নিশ্চয় জনগণের সমর্থন নিয়ে নির্বাচনে যেতে চায় না। তাদের মূল কাজ হচ্ছে জনগণের ওপর চড়াও হওয়া এবং আগামীর নির্বাচনকে বানচাল করা। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কোন ভিত্তি, কোন শক্তি তাদের নাই। তারা এটা উপলব্ধি করেছে গত দুইটি সংসদ নির্বাচনে। তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে এবং জনগণের ওপর আস্থা না রেখে তা বর্জনও করেছেন। এতে বোঝা যায় জাতীয় সংসদের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই, এদেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই, গণতন্ত্রের প্রতি তাদের কোন আস্থা নাই।

তিনি আরও বলেন, আজকে তারা খোলাখুলিভাবে একটি জঙ্গি সংগঠন, সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আর্বিভুত হয়েছে। আমরা বার বার দাবি তুলছি এই সন্ত্রাসী সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। কারণ তারা জনগণের শত্রু, তারা কিভাবে বাংলাদেশের রাজনীতি করে। যে দেশ স্বাধীন হয়েছে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেই দেশের ধ্যান-ধারণা-চেতনার পরিপন্থি কাজ করে এবং ধ্যান-ধারণা-চেতনায় বিশ্বাস করে না সে সংগঠন, সেই সংগঠনের এদেশে রাজনীতি করার কোন অধিকার নাই। তারা যে এতো বছর এদেশে রাজনীতি করেছে, ২ বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসছিল, এটাই তো আমি মনে করি বাংলাদেশের জনগণের উদারতা ও সহনশীলতা। তিনি বলেন, গতকালকে ৭ নভেম্বর ছিল, ঐ দিনে কর্নেল তাহের জিয়াউর রহমানকে বাঁচিয়ে ছিল। সেই কর্নেল তাহেরকেই জিয়াউর রহমান হত্যা করেছিল। শত শত মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করেছি জিয়াউর রহমান। সুতরাং জিয়াউর রহমানের চরিত্র এদশের জনগণ জানে। সে নিজে একজন খুনি তার পুত্রও একজন খুনি। সেই খুনি পুত্র বিদেশ থেকে জঙ্গি নেতার মতো মোবাইলে নির্দেশনা দিয়ে জনগণের ওপর তাদের সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে ধ্বংসলীলা সৃষ্টি করছে। সুতরাং এ থেকে বোঝা যায় তারা গণতন্ত্র মনা নয়, তারা গণতন্ত্রকে বিশ্বাস করে না। তারা জবর দস্ত করে এদেশের জনগণকে শাসন-শোষণ, অত্যাচার করতে চায়। সুতরাং এই সকল অপশক্তিকে যে কোন মূল্যে প্রতিহত করার জন্যই আজকে আমরা রাজপথে আছি। তারা অবরোধ ডাকলে এদেশের জনগণ নিরাপদ নয়, সুতরাং জনগণকে নিরাপত্তা দেওয়া, তাদের পাশে দাড়ানো রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগণের সংগঠন আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এদেশে যতটা অগ্রগতি ও উন্নয়ন হয়েছে তা আওয়ামী লীগ সরকারের সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই হয়েছে।

নরসিংদীতে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, খুনি, সন্ত্রাসীর দল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী জিয়ার রেখে যাওয়া পাপিষ্ঠ দল বিএনপি। বিএনপি-জামাত আবারও মাঠে নেমেছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাত ধরে যে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, সেই দেশটিকে ধ্বংস করার জন্য মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি রাজাকারের দল জামাত-বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকা- শুরু করে দিয়েছে। তারা গাড়িতে বোমা হামলা চালাচ্ছে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করছে, শেখ হাসিনার পতন ঘটানোর জন্য। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো এতো সহজ নয়। তোমরা ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জ্বালাও-পোড়াও করে, মানুষ হত্যা করে, পুলিশ হত্যা করেও পারো নাই তোমরা ঘরে ফিরে গিয়েছো। তারা আবার মাঠে নেমেছে একই কায়দায়।

তিনি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা সাধারণ জনগণের ওপর হামলা করে, গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে তাহলে যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে এই আগুন-সন্ত্রাসী বিএনপিকে প্রতিহত করবেন। যে হাত দিয়ে গাড়ি পোড়াবে সেই হাত পুড়িয়ে দিবেন। সারা দেশে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ হাবিবুর রহমান পবন, মোঃ নবী নেওয়াজ, ইঞ্জিনিয়ার মৃনাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মুতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মোঃ রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, মোঃ জহির উদ্দিন খসরু, মোঃ সোহেল পারভেজ, আবু মুনির মোঃ শহিদুল হক চৌধুরী রাসেল, মশিউর রহমান চপল, অ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হারিছ মিয়া শেখ সাগর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল মুকিত চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা অ্যাড. শেখ নবীরুজ্জামান বাবু, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক কাজী খালিদ আল মাহমুদ টুকু, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।

কেআই//