ঢাকা, রবিবার   ১২ জানুয়ারি ২০২৫,   পৌষ ২৯ ১৪৩১

আরও ভেতরে ইসরায়েলী সেনা, পালাচ্ছে ফিলিস্তিনিরা

দুলি মল্লিক

প্রকাশিত : ১০:২০ এএম, ৯ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১০:২৩ এএম, ৯ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

গাজার আরও ভেতরে প্রবেশ করছে ইসরায়েলী সেনারা। বাড়ছে বোমা হামলা ও হতাহতের সংখ্যা। এ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে উত্তর গাজা ছেড়ে দক্ষিণে পালাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা। এ পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ উত্তর গাজা ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ ৭ উন্নত দেশের জোট জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মানবিক বিরতির দাবি জানালেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আবারও তা নাকচ করে দিয়েছেন। 

ইসরায়েলী বিমান হামলায় বিধ্বস্ত এই ভবনের নিচে চাপা পড়ে একটি পরিবারের তিন প্রজন্মের সবাই। ৩৫ সদস্যকে হারিয়ে এখন শুধু বেঁচে আছেন মোহাম্মদ হামদান। জানান, তিনিও বিধ্বস্ত ভবনের নিচে চাপা পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে। 

ভারী অস্ত্র ও সাঁজোয়া যান নিয়ে ইসরায়েলি সেনারা যতোই গাজার ভেতরে প্রবেশ করছেন, ততো বাড়ছে বোমা হামলা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যাও।

এ অবস্থায় প্রাণ বাঁচাতে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণে পালাচ্ছেন হাজার হাজার ফিলিস্তিনি। কর্তৃপক্ষ বলছে, এ পর্যন্ত ৫০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি উত্তর গাজা ছেড়েছেন।

এরআগে বুধবার প্রথমবারের মতো চার ঘণ্টার জন্য মানবিক যুদ্ধবিরতি দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই সময়ের মধ্যেই উত্তর গাজা ছাড়ার নির্দেশ দেন তারা। হামাসের ১৩০টি টানেল ধ্বংসের দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী।  

হামাস বলছে, এখনও উত্তর গাজায় ছয় লাখ মানুষ রয়ে গেছে। ইসরায়েলী বাহিনী দক্ষিণেও হামলা চালাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নিহতের অর্ধেকই দক্ষিণ অংশে হয়েছে বলে জানান তারা।

এ অবস্থায় জাপানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর জোট জি-সেভেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা মানবিক বিরতীর আহ্বান জানালেও আবারও তা নাকচ করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। জিম্মিদের মুক্তি ছাড়া মানবিক বিরতিতে রাজি নন তিনি।

গাজায় একের পর এক হামলায় বিপুল সংখ্যক ফিলিস্তিনি নিহতের ঘটনায় ইসরায়েলী বাহিনীর অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। 

এদিকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে মিশরের রাফা সীমান্ত।

এএইচ