ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ১৩ ১৪৩১

টইটম্বুরের প্রতিষ্ঠাতা সবিহ-উল-আলমের ৮৩তম জন্মদিন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:৪৮ পিএম, ৯ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ১২:৫৫ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার

বরেণ্য সাংস্কৃৃতিক ব্যক্তিত্ব ও শিশু-কিশোরদের জনপ্রিয় মাসিক পত্রিকা টইটম্বুরের প্রতিষ্ঠাতা চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ্য সবিহ-উল-আলমের ৮৩তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে।

গতকাল ৮ নভেম্বর বুধবার তার ৮৩ তম জন্মদিন উদযাপন করেন তার শুভাকাঙ্খীরা।  

১৯৪০ সালের ৮ই নভেম্বর চট্টগ্রামের পটিয়ায় সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া এই গুণী শিল্পী আজীবন শিল্পকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছেন। আশি পেরিয়েও শিশুদের নিয়ে সৃজনশীল আগামীর স্বপ্ন দেখে যাচ্ছেন তিনি।

১৯৭১ সালে যে কজন শিল্পী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে ছবি আঁকার মাধ্যেমে প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে শিল্পী সবিহ্ উল আলম ছিলেন অন্যতম। ছয়জন শিল্পীর ১০৪ ফুট দীর্ঘ  আঁকা ছবির নাম ছিল আবহমান বাংলা ও বাঙ্গালী। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানবিরোধী সেই ছবিটি  দেশের মানুষের মনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে ৭১-র মুক্তিযোদ্ধাদের শক্তি ও সাহস অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে সেই ছবি।

সবিহ উল আলম ছিলেন দেশবরেণ্য শিল্পচার্য জয়নুল আবেদিনের সমসাময়িক। বলা যায় অনেকটা গুরু-শিষ্যের মতো। একদা শিল্পী জয়নুল আবেদিন চট্টগ্রামে বেড়াতে গেলে শিল্পী সবিহ উল আলমকে পরামর্শ দেন যে, চট্টগ্রামে একটা আর্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করার জন্য। তিনি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কথা রেখেছিলেন।

শিল্পী সবিহ উল আলম ১৯৭৬ সালে তাঁর শুভাকাঙ্খীদের নিয়ে চট্টগ্রাম চারুকলা কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন এবং তিনি চারুকলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন। আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর সবিহ উল আলম শুধু শিক্ষকতায় থেমে থাকেননি। তিনি ছিলেন একাধারে শিল্পী, গায়ক, মডেল, শিশু ও প্রকৃতিপ্রেমী।

সারাজীবন তিনি শিল্প সাহিত্য সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। লাহোর আর্ট কলেজে তিনি লেখাপড়া করেন। তিনি এখনো স্বপ্ন দেখেন আজকেরি শিশুরা আগামীতে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশকে আরও অনেক উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিনি মনে করেন আগামীর ভবিষ্যৎ শিশুদের নিয়ে আরও সৃজনশীল কাজ করা দরকার। 

তখন গোটা জাতি অন্যরকম সমজদার সৃজনশীল নৈতিক মানুষ হিসাবে গড়ে উঠববে। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সবিহ উল আলমের হাতে গড়া শিশু কিশোরদের জনপ্রিয় সাময়িকী টইটম্বুর প্রকাশনার ৩২ বছর পূর্ণ  করেছে। 

টইটম্বুর এর বর্তমান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন তার বড় মেয়ে নওশেবা সবিহ কবিতা। 

শিল্পী প্রফেসর সবিহ উল আলমের বাবা ছিলেন তৎকালীন পটিয়ার সাবরেজিস্ট্রার ও পটিয়া ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কথাশিল্পী মাহাবুবুল আলম ও মাতা রাহেলা খাতুন। বাবার চাকুরির সুবাদে আলম পরিবার পটিয়ার তালতলা চৌকি গ্রামে ভাড়া বাসায় থাকতেন। আলম পরিবার ৬ বছর পর্যন্ত পটিয়ায় অতিবাহিত করেন। আদি নিবাস হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদ গ্রামে।

১১ জন ভাইবোনদের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর স্ত্রী টইটম্বুরের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক প্রয়াত সেলিমা সবিহ। শিল্পী সবিহ উল আলম দুই পুত্র সন্তান ও এক কন্যা সন্তানের জনক। একসময় চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির আল আমিন বাড়িতে সপরিবারে থাকতেন। বর্তমানে তিনি ঢাকার শান্তিনগরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করছেন।

 

 এসবি/