ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

সাভার-আশুলিয়ার শতাধিক পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:২৭ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার

মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে সপ্তাহব্যপী আন্দোলনের মুখে মজুরি বোর্ড ঘোষিত নুন্যতম মুজুরি সাড়ে ১২ হাজার টাকা করা হলেও তা প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে পোশাক শ্রমিকরা। এ প্রেক্ষিতে সাভার-আশুলিয়ার প্রায় শতাধিক পোশাক অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১১ নভেম্বর) টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও জিরাবো-বিশমাইল সড়কের কাঠগড়া আমতলা, বড় রাঙ্গামাটিয়ার বিভিন্ন কারখানা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ পোশাক কারখানার গেটে টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে কারখানা বন্ধের নোটিশ।

এরমধ্যে রয়েছে দি রোজ ড্রেসেস লিমিটেড, দ্যাটস্ ইট স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, অনন্ত গার্মেন্টস লিমিটেড, হা-মীম, শারমীন, পাইওনিয়ার লিমিটেড এবং জিরাবো-বিশমাইল সড়কের এআর জিন্স প্রডিউসার লিমিটেড, ডুকাটি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আগামী এ্যাপারেল লিমিটেড, ক্রোসওয়্যার লিমিটেড, সেইন এ্যাপারেলস লিমিটেড, টেক্সটাউন লিমিটেড, অরনেট নীট গার্মেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক পোশাক কারখানা।

নোটিশে বলা হয়েছে, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বহিরাগত পোশাক শ্রমিকদের বে-আইনীভাবে কারখানার ভেতর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে কারখানা ভাংচুর ও কাজ বন্ধ রাখাসহ কর্মস্থলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করায় উৎপাদন কাজ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এমতাবস্থায় কারখানা কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে ১০ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করলো।

এদিকে, কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়ার বিষয়টি শ্রমিকদের মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়েও জানিয়ে দিচ্ছে অনেক কারখানা কর্তৃপক্ষ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আগামী এপ্যারেলস কারখানার এক শ্রমিক বলেন, শ্রমিকদের বেতন বৃদ্ধির আন্দোলনের মুখে কারখানা কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে। আমাদের মোবাইলে এ সংক্রান্ত মেসেজ পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কারখানার গেটে নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

অনেকেই সকালে কারখানায় গিয়ে নোটিশ দেখে ফিরে এসেছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ যে আইন দেখিয়ে ছুটি ঘোষণা করেছে সেই আইনে কারখানা যতদিন বন্ধ থাকবে ততদিনের বেতন পাবে না শ্রমিকরা। 

এ ব্যাপারে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় শতাধিক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারখানা বন্ধের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে কোন চিঠি দেয়নি। তবে বিভিন্নভাবে আমরা বন্ধের খবর পেয়েছি। অন্যান্য দিনের মত আজও আমাদের পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

এএইচ