ধানক্ষেতে মিলল কিশোর অটোরিকশা চালকের মরদেহ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০২:৩০ পিএম, ১২ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার
লক্ষ্মীপুরে নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর মুরাদ হোসেন (১৫) নামে এক কিশোর অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার তেওয়ারীগঞ্জ ইউনিয়নের আঁধারমানিক গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুরাদ ওই এলাকার মো. আজাদের ছেলে। ৭ নভেম্বর রাতে অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে। নিখোঁজ হওয়ার একদিন পর ৯ নভেম্বর সদর থানায় আবুল কালাম আজাদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে আসামি করে অপহরণ মামলা করেন মুরাদের মা মরিয়ম বেগম।
মুরাদের চাচা মো. ফারুক বলেন, চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিল মুরাদ। বিষয়টি থানা-পুলিশকেও অবহিত করা হয়েছে। শনিবার দুপুরের দিকে স্থানীয় এক নারী ধান ক্ষেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পচা গন্ধ পান। পরে ক্ষেতের ভেতরে মুরাদের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজনকে জানান তিনি। তারা আমাদের ফোন করে জানান। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে বাড়ি থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সজীব নামে এক যুবককে আমরা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছি। তবে অটোরিকশার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। মরদেহে পচন ধরেছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সজীব নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
মুরাদ নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ৭ নভেম্বর মুরাদ নিখোঁজের পর ৯ নভেম্বর থানায় তার মা মরিয়ম বেগম একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় আবুল কালাম আজাদ নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। অপহরণ মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুরাদের বাবা পেশায় একজন কৃষক ও অটোরিকশাচালক। মাঝেমধ্যে বাবার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নিয়ে বের হয় মুরাদ। গত ৭ নভেম্বর সন্ধ্যার পর অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।
পরিবারের দাবি, ওইদিন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদ (৫০) ফোন দিয়ে মুরাদকে দক্ষিণ আধারমানিক স্কুল এলাকায় ডেকে নেন। এসময় তার সঙ্গে সজিব (২০) নামেও একজন ছিল। কিন্তু রাত ১১টার পরও সে ফিরে না আসায় খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এসময় মুরাদের মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। পরদিন সদর থানায় আজাদকে আসামি করে অপহরণ মামলা করেন মুরাদের মা।
এএইচ