বেনাপোলে সুমন হত্যার ৩ আসামি ঢাকায় আটক
বেনাপোল প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:২৭ এএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার
যশোরের বেনাপোল থেকে অপহৃত সুমন হত্যার ঘটনায় ঢাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এসময় একটি হায়েচ মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার ভোরের দিকে ঢাকার শাখারী বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সাথে জড়িত ৩ জনকে সিসিটিভিতে প্রাপ্ত ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসসহ গ্রেফতার করা হয়। জেলা পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার আলিকামুড়া গ্রামের সুনিল চন্দ্র দাসের ছেলে ও ঢাকার শাখারীবাজার এলাকার বাসিন্দা ডালিম কুমার দাস (৩৩), একই জেলার দেবিদার থানার রসুলপুর গ্রামের ঠাকুরদাস নিয়োগির ছেলে ও ঢাকার শাখারী বাজারের বাসিন্দা অঞ্জন নিয়োগি (৪৯) এবং পটুয়াখালী জেলার দশমিনা থানার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের দৌলত মুন্সির ছেলে ও ঢাকার ফকিরাপুলের আবুল মিয়ার বাড়ির ৭ তলার ভাড়াটিয়া রিয়াজ (৩৮)।
পুলিশ জানায়, গত ১১ নভেম্বর স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের হোতা বেনাপোল পৌরসভার বড়আচড়া গ্রামের বাসিন্দা ও বেনাপোল পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর কামাল হোসেন ও তার সহযোগীরা বেনাপোল থেকে শার্শার টেংরালী গ্রামের ওসমান গনির ছেলে ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬)কে অপহরণ করে হত্যা করে।
পরে ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও আসামিদের মোবাইল তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে আটক করা হয়।
জেলা ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপম কুমার জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, স্বর্ণ চোরাকারবারীদের প্রায় ৩ কেজি স্বর্ণ (২৫টি বার) খোয়া যাওয়ায় স্বর্ণ চোরাকারবারী চক্রের হোতা কামাল ও সহযোগিতারা সুমনকে সন্দেহজনক আটক করে মারধর করে। স্বর্ণ না পেয়ে তাকে হত্যা করে লাশ মাগুরা জেলার সদর উপজেলার রামনগর গ্রামের এলাকায় ঝিনাইদহ-মাগুরা মহাসড়কের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়।
এর আগে বৃহস্পাতিবার ১৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে মাগুরা জেলার রামনগর গ্রামে থেকে ভিকটিম সুমনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা বেনাপোল পোর্ট থানায় কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। পলাতক আসামিদের আটকে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলমান বলে জানান পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া।
এএইচ