গাজার স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলা, অর্ধশতাধিক নিহত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪১ পিএম, ১৮ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) স্কুলে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় শত শত মানুষ আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত এ খবর জানিয়েছে কাতার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, আল-ফাখুরা স্কুলে ইসরায়েলের বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫০ জন নিহত হয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করা ছবিগুলোতে দেখা যাচ্ছে, মেঝেতে পড়ে আছে নিহত মানুষের সারি। যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন আহতরা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে স্কুলের মেঝে। মানুষ যে যেদিকে পারছেন সেদিকে ছুটছেন।
গাজায় অবস্থানরত আলজাজিরার প্রতিনিধি বলেন, স্বাভাবিক সময়ে জাবালিয়া শরণার্থী শিবির অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ থাকে। এই শরণার্থী শিবিরের ভেতরের কিছু বাসিন্দা ইসরায়েলি বাহিনীর নির্দেশে গাজা উপত্যকার দক্ষিণে পালিয়েছেন। আর অন্যরা কোনো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পাননি। যে কারণে তারা ঘরবাড়ি, খামার, আবাদি জমি ছেড়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন। এই শরণার্থীরা জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলটিতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই স্কুলগুলোও আর নিরাপদ নয়।
সংবাদ মাধ্যমটির তারেক আবু আজজুম বলেন, সর্বত্র মৃতদেহ পড়ে আছে এবং মেডিকেল টিমের সদস্যরা আহতদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। উত্তর গাজায় ইসরায়েলের স্থল হামলার মাঝে অনেক ফিলিস্তিনি নিরাপত্তার জন্য ইন্দোনেশিয়ার ফিল্ড হাসপাতালের পাশের ওই স্কুলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
তিনি বলেন, জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আল-ফাখুরা স্কুলে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের মাঝে অনেকেই আগের ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন। তারা সহিংসতা থেকে বাঁচতে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এখন এই শরণার্থীদের গাজা উপত্যকার দক্ষিণের দিকে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বার্তা দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘ পরিচালিত বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্কুলে হামলা করছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। ইসরায়েলের হামলায় এই উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১২ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।
এমএম//