গাজায় হত্যার প্রতিবাদে মালয়েশিয়ায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ
মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৫৮ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার
গাজায় সাংবাদিক ও শিশু হত্যার প্রতিবাদে মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভ করেছে দেশটির বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন।
শনিবার কুয়ালালামপুরের মেরদেকা স্কয়ারের সামনে মালয়েশিয়ায় ২৬টি সংবাদ সংস্থার শতাধিক সংবাদকর্মী প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন।
কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে) জানিয়েছে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি নির্বিচার হামলায় এ পর্যন্ত ৪২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে সাংবাদিকদের স্বার্থরক্ষায় কাজ করা বৈশ্বিক এই সংস্থাটি এমন তথ্য তুলে ধরেছে।
১৯৯২ সালে সিপিজে তথ্য সংরক্ষণ শুরুর পর থেকে সাংবাদিকরা এমন কঠিন পরিস্থিতির শিকার আর কখনোই হয়নি বলেও জানিয়েছেন সংস্থাটি।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, সংঘাত শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ৪২ জন সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩৭ জন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক এবং একজন লেবাননের। এ ছাড়া যুদ্ধে আরও ৯ সাংবাদিক আহত, তিনজন নিখোঁজ ও ১৩ জন সাংবাদিক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েলে। এ যুদ্ধে অন্তত ৪২ সাংবাদিক হত্যার ও ফিলিস্তিনের সাড়ে ১২ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।
সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশু নিহত হচ্ছে। এ ছাড়া নিহতদের প্রতি তিনজনের একজন নারী অথবা শিশু রয়েছেন।
ফিলিস্তিনে হামাসকে নির্মূলের লক্ষ্যে পরিচালিত যুদ্ধের নামে সাংবাদিকসহ নিরীহ মানুষ হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন ২৬টি সংবাদ সংস্থা। এরমধ্যে রয়েছে ন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ জার্নালিস্ট, গেরাকান মিডিয়া মেরডেকা, ক্রাইম জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ফরেন করেসপন্ডেন্টস ক্লাব মালয়েশিয়া, কেলাব ওয়ার্তাওয়ান কেএল এবং সেলাঙ্গর, কেলাব মিডিয়া প্রিমা, কেলাব মিডিয়া পুত্রজায়া এবং কেলাব মিডিয়া পাহাং।
এ সময় তারা গাজায় বিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান।
আল-জাজিরার মালয়েশিয়ার ব্যুরো প্রধান সাইরিয়ান নাফিস বলেন, রয়টার্সের ভিডিওগ্রাফার, ইসাম আবদুল্লাহ হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন এবং ছয়জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এই ধরনের ঘটনাগুলো সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে কর্মরত সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের জরুরি প্রয়োজন বলে তুলে ধরেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক এবং সরকার কর্তৃক সাংবাদিক এবং তাদের পরিবারকে টার্গেট করে যে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে তার তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল যখন অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সহিংসতার প্রতি সমর্থন দেয় এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করে, তখন আমাদের এ কথা জানাতে হবে যে ইসরায়েল যা করছে, তা আমাদের মূল্যবোধের পরিপন্থি। ইসরায়েল যাতে একতরফা ও বিনা বাধায় যা খুশি তা করতে না পারে, সেজন্য কঠোর প্রতিবাদ করা প্রয়োজন।
এএইচ