ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

আবারও ভাঙ্গনের মুখে জাতীয় পার্টি (ভিডিও)

মানিক শিকদার

প্রকাশিত : ১২:১৪ পিএম, ২১ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

আবারও ভাঙ্গনের মুখে এরশাদের জাতীয় পার্টি। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় প্রকাশ্যে এসেছে নেতৃত্বের দ্বন্ধ। রওশন এরশাদকে অবাঞ্ছিত বলছেন জিএম কাদেরপন্থীরা; অন্যদিকে রওশনকেই পার্টির সর্বেসর্বা মানছেন অপর অংশ। প্রতিটি নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয় পার্টির এমন দ্বন্ধ, দুর্ভাগ্যজনক বলছেন নেতাকর্মীরা।

নির্বাচনের তারিখ যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনীতিতে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন মোড়। আওয়ামী লীগসহ বেশ কয়েকটি দল এরইমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে। আর বিএনপি এখনও আন্দোলন অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে রাজনীতির মাঠে গেম চেঞ্জার হিসেবে জাতীয় পার্টি তৃতীয় শক্তি হিসেবে কাজ করলেও নেতৃত্ব নিয়ে আবারও জটিলতায় পড়েছে দলটি।

সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী নাকি ভাই? কে দেবেন দলের নেতৃত্ব তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ধোঁয়াশায় দলটি।

চলমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে না পৌঁছালেও মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থী অংশ।

তারা বলছেন, রওশন এরশাদ পার্টির নীতি নির্ধারক নন, জিএম কাদের ও চুন্নু চালাবেন দল।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা বলেন, “কোনো কারণে যদি পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের উপস্থিত না থাকেন তাহলে মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাখেন। বেগম রওশন এরশাদ হচ্ছেন আমাদের প্রতিষ্ঠা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্ত্রী। তাঁর সম্মানে রওশন এরশাদকে চীফ প্যাট্রোল একটা পদ দেওয়া হয়েছে। তিনি কি বলেন না বলেন তার গুরুত্ব নাই।”

এদিকে রওশনপন্থী নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেছেন, পার্টির নেতৃত্ব তাদের হাতেই আছে।

বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “দলের ওই সংবিধান রচয়িতা হলাম আমি। আমি কর্তৃক প্রকাশিত ও প্রচারিত যে সংবিধান সেটা আমি ভালো করেই জানি। সেটাতে চীফ প্যাট্রোল সমর্থক হওয়া যাবে।”

তবে পার্টি আবারও ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে বলে মনে করছে উভয়পক্ষ। আর এজন্য তৃতীয় পক্ষের ষড়যন্ত্রকে দায়ী করছেন তারা।

মাশরুর মাওলা বলেন, “তৃতীয় একটা শক্তি আছে, যে শক্তির কারণেই আমাদের নেতানেত্রীরা চেষ্টা করেন জাতীয় পার্টির মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির।”

মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, “ভাঙন হতে পারে, প্রত্যেকটা নির্বাচনের সময়ে একটা ভাঙন হয়। এর আগের দুই পক্ষেরই মহাসচিব ছিলাম আমি। ভাঙন যাতে না হয় সেজন্য দু’জনকে সম্মানিত অবস্থান দিয়ে আমি আমার জায়গায় ছিলাম।”

এই পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীরা অনেকটা বিভ্রান্তিতে। তারা চান ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে।

এএইচ