জনগণের স্বার্থেই রাজপথে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় যুবলীগ: শেখ পরশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:০৯ পিএম, ২৬ নভেম্বর ২০২৩ রবিবার
বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক পুলিশ হত্যা, কাকরাইল মসজিদ ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও অবৈধ অবরোধের প্রতিবাদে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অবস্থান কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ২৬ নভেম্বর দুপুর ১২টায়, ঢাকা-১৭ আসনের মহাখালী কাঁচা বাজারে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেখ ফজলে শামস্ পরশ, চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ। সভাপতিত্ব করেন জাকির হোসেন বাবুল, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর। সঞ্চালনা করেন-মো. ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, আপনারা জানেন বিএনপি-জামাতের ডাকা অবৈধ অবরোধ সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন কর্মসূচিতে পরিণত হয়েছে। এদেশের জনগণ তাদের কর্মসূচিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বিভিন্ন শাখাসমূহ অতন্দ্র প্রহরীর মতো সাধারণ মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে যেন বিএনপি-জামাত তাদের অবৈধ অবরোধের মাধ্যমে জানমালের ক্ষতি করতে না পারে। ঢাকা মহানগরসহ দেশের সকল জেলা-মহানগর উপজেলা যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপি-জামাতের মতো অপশক্তিকে মোকাবিলা করছে। তারপরেও বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে চোরাগুপ্তা হামলা করে কিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগ কছে।
তিনি আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, যদি যুবলীগের নেতা-কর্মীরা রাজপথে থেকে বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীদের প্রতিহত না করতো তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয়তো আরো বেশি হতো। আজকে বিএনপির সন্ত্রাসীরা গুপ্ত হামলা এ কারণেই করছে। কারণ রাজপথে সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করছে যুবলীগ। যুবলীগ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে দুর্বিপাকে সব সময় ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি আরও বলেন, যখন এই অপশক্তি দেশকে একটা জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রে, একটা মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তারা যখন ক্ষমতা দখল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যখন তারা গণতান্ত্রিক পন্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পিছনের দরজা দিয়ে অথবা বিদেশী প্রভুদের মাধ্যমে ক্ষমতার গদি দখল করতে চায় তখন যুবলীগ রাজপথে অতন্দ্র প্রহরীর মতো থেকে তাদের এই অপচেষ্টাকে ধূলিস্যাৎ করে দেয়। তিনি বলেন, আজকে যুবলীগের চলমান কর্মসূচির কারণেই বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনমুখী। আগামী ডিসেম্বর মাস জুড়ে সারাদেশে এক উৎসবমুখর পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। কারণ ডিসেম্বর মাস আমাদের বিজয়ের মাস আবার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন। সাথে জানুয়ারি মাসের নির্বাচন। এই উৎসবমুখর পরিবেশ ধ্বংস করার চেষ্টা করবে বিএনপি-জামাত। তারা নির্বাচনে বাধা দিবে, নির্বাচনকে বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে। কারণ তারা স্বাধীনতাকে বিশ্বাস করে না, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ও তাদের সাথে জোট করে এদেশের গণতন্ত্রকামী, স্বাধীনতাকামী মানুষের ওপর বার বার তাদের ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। সেই দেশবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলা করছে যুবলীগ।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে- (১) জননেত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির যে ধারাবাহিক অগ্রযাত্রা তা অব্যাহত রাখতে হবে। (২) যুবলীগের নেতা-কর্মীদের মাঝে ঐক্য ধরে রাখতে হবে। বিগত দুই তিন মাস যুবলীগ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে আসছে বলেই বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস রুখে দিয়েছে।
এছাড়াও ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১১ সংসদীয় আসনে সুবাস্তু টাওয়ার, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২ সংসদীয় আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইট, ঢাকা-১৩ সংসদীয় আসনে শ্যামলী, ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১০ গোল চত্বর, ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনে মিরপুর-১১ বাস স্ট্যান্ড ও ঢাকা-১৮ সংসদীয় আসনে আজমপুর, উত্তরায় এবং ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ সংসদীয় আসনে ৫৭নং ওয়ার্ড, কামরাঙ্গীরচর লোহার ব্রীজ, ঢাকা-৪ সংসদীয় আসনে শ্যামপুর ইকো পার্কের সামনে, ঢাকা-৫ সংসদীয় আসনে শনিরআখড়া দনিয়া কলেজের সামনে, ঢাকা-৬ সংসদীয় আসনে ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে, ঢাকা-৭ সংসদীয় আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ও ঢাকা-৯ সংসদীয় আসনে কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজ বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্নে ও ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনে ধানম-ি-৩২ নম্বরে সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষযক সম্পাদক অ্যাড. মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীমসহ কেন্দ্রীয়, মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।
কেআই//