ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ইবিতে সিনিয়রের হাতে জুনিয়র শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:১৯ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) মিনহাজুল হক রুমন নামের এক সিনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে থাপ্পড় মেরে কানের পর্দা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী এই ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী এনামুল হক ইমন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অন্যদিকে অভিযুক্ত মিনহাজুল হক রুমন লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। রুমন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের কর্মী বলে ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়।

শিক্ষার্থী ইমন বলেন, ‘গত ১৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছিলাম। প্রথমে বদরুল আমিন পিয়াস ভাই ও তার বন্ধুদের সাথে কথা বলে হ্যাডশেক করে যাওয়ার সময় আমি হর্ন দিলে পেছন থেকে রুমন ভাই দাঁড়াতে বলে। যদিও বাইক চালু অবস্থায় একটু সামনে চলে যেতে হয়েছে। তখন রুমন ভাই দৌড়ে এসে আমাকে থাপ্পড় মারে। মনে হয়েছিল তখন সে নেশায় বিভোর।’

ভুক্তভোগী আরও বলেন, থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফেটে গেছে। চিকিৎসা করানো লাগবে। না হয় সারা জীবন বিকলাঙ্গ হয়ে থাকতে হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে গেলে কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে বলে।  ঠিক না হওয়ায় নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞকে দেখাতে বলেন ডা. রবিউল ইসলাম। কুষ্টিয়ায় নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. এম. এ. মান্নানকে দেখালে তিনি কানের পর্দা ফেটে দিয়েছে বলে নিশ্চিত করে ও অপারেশন না করা হলে এই সমস্যা কখনো ঠিক হবে না বলে জানান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুমন বলেন, ‘আমি ওকে মারিনি। ওভার স্পীডে বাইক চালাচ্ছিল পরে জাস্ট বুঝিয়েছি। জিনিসটাকে হাইপ করার জন্য আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তখনই মিমাংসা হয়ে গিয়েছিল। পরে শুনলাম প্রক্টর বরাবর অভিযোগ দিয়েছে। কারো মদদ থাকতে পারে। আমিও বিষয়টা নিয়ে অভিযোগ করব।’

এ বিষয়ে ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, ‘কেউ আমার নাম ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু রুমন ছাত্রলীগের কেউ না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। এ বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় তা মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে।’

এএইচ