দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৮ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ বুধবার
দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮। চলবে ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কার্বন নির্গমনের জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানির একটি হচ্ছে তেল। আর তেলের অন্যতম বড় উৎপাদক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে এবার কার্বন নির্গমন কমানো নিয়ে আলোচনা হতে যাচ্ছে।
কপ-২৮ এর সভাপতি করা হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় তেল কোম্পানি অ্যাডনকের প্রধান নির্বাহী সুলতান আল-জাবেরকে। তাই সম্মেলন সফল করতে তিনি সৎভাবে কাজ করতে পারবেন কিনা, সেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সম্মেলনের আগে তিনি বিভিন্ন দেশের সরকারের সঙ্গে গ্যাস ও অন্যান্য বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা করার পরিকল্পনা করেছিলেন বলে সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে অভিযোগ করা হয়। ফাঁস হওয়া কিছু নথির ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে বিবিসি।
তবে ফাঁস হওয়া নথি ‘সঠিক নয়' বলে মন্তব্য করেছেন কপ-২৮ এর একজন মুখপাত্র। আল-জাবের মনে করেন, জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে ধীরে ধীরে সরে আসার বিষয়টি ‘অবশ্যম্ভাবী'। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তেল শিল্পকেও জড়াতে হবে বলেও মনে করেন তিনি। তাই তেল ও গ্যাস উত্তোলনের সময় কার্বন নির্গমন কমাতে কোম্পানিগুলোর সহায়তা চান আল-জাবের। সে কারণে এবারের সম্মেলনে আগের যে-কোনো সম্মেলনের চেয়ে অনেক বেশি ব্যবসায়ী অংশ নিচ্ছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ব্রিটেনের রাজা চার্লসও সম্মেলনে অংশ নেবেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থাকবেন না।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কয়লা, তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধ করা উচিত, নাকি জলবায়ুর ওপর এসব শিল্পের প্রভাব কমাতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গুরুত্ব দেয়া উচিত, তা নিয়ে দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন রয়েছে। সম্মেলনে সেই বিভাজন আরও স্পষ্ট হতে পারে।
বৈশ্বিক উষ্ণতা কমাতে বিভিন্ন দেশ যেসব অঙ্গীকার করেছে তা বাস্তবায়ন কতদূর তা নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার তিনগুন বাড়াতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এ লক্ষ্যে সম্মেলন চলার সময় একটি চুক্তি করতে চায় তারা। ১০০-র বেশি দেশ এর পক্ষে আছে বলে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে চীন ও ভারত এখনও পুরোপুরি এর পক্ষে সমর্থন জানায়নি।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যেসব দেশে খরা, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা দিচ্ছে তাদের সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিতে একটি তহবিল গঠন চূড়ান্ত করার চেষ্টা করা হবে। ইতোমধ্যে এর খসড়া তৈরি হয়েছে। তবে সম্মেলনে সেটি অনুমোদন পেতে হবে।
কেআই//