গাজায় নতুন করে হামলায় নিহত ২৪০ ফিলিস্তিনি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৬ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার
যুদ্ধবিরতি শেষের পর গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছে প্রায় ২৪০ ফিলিস্তিনি। এদিকে দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছে নেতানিয়াহু বাহিনী। চলছে পরের ধাপে যুদ্ধ আরো জোরালো করার পরিকল্পনা। নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতে গাজায় মানবিক সংকট আরও তীব্র হবে বলে উদ্বিগ জানিয়েছে জাতিসংঘ।
শনিবার গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার বলেছে, যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ২৪০ জন নিহত হয়েছে।
এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি শেষে গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া লড়াইয়ের দ্বিতীয় দিন। গাজার দক্ষিণে খান ইউনুস ও রাফায় বিমান হামলার মধ্য দিয়ে সংঘাতের শুরু। ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ২শ’ বিমান হামলা চালিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী ।
গাজা কর্তৃপক্ষ বলছে, হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ২০টিরও বেশি বাড়ি-ঘর। হতাহতদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
যুদ্ধ পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে ইসরায়েল। এর আওতায় গাজা উপত্যকাকে কয়েকটি অংশে ভাগ করে প্রথমে বেসামরিক লোকজনকে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেবে, এরপর হামলা চালাবে। তবে লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য কতোটা সময় দেয়া হবে তা স্পষ্ট নয়।
একইসঙ্গে দক্ষিণ গাজায় স্থল অভিযান শুরুরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানান, দক্ষিণ গাজা নিয়ন্ত্রণে আনার মধ্য দিয়ে সামরিক বিজয় নিশ্চিত করতে চান তিনি।
আর গাজায় হামলা অব্যাহত রাখতে ইসরায়েলকে অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, খোদ মার্কিন সংবাদ মাধ্যমেই উঠে আসে এ তথ্য। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলছে, নতুন করে আরও ২ হাজার পাউন্ড ব্যাংকার বিধ্বংসী বোমা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত ইসরায়েলকে ১৫ হাজার বোমা ও ৫৭ হাজার কামানের গোলা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় নতুন করে শুরু হওয়া এই হামলাকে নরক ফিরে আসা অ্যাখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘের মানবিক দপ্তর।
সরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেও গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য কোথাও কোনো নিরাপদ স্থান নেই বলে সর্তক করেন জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ।
এএইচ