করোনার মতো চীনের নিউমোনিয়াও কি বিশ্বজুড়ে ছড়াবে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:১৮ পিএম, ২ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার
চীনের রহস্যময় নিউমোনিয়ার প্রাদুর্ভাব ইউরোপের চারটি বড় শহরকে মারাত্মকভাবে সংক্রামিত করার বিষয়ে বড় ধরনের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিউমোনিয়ার এই প্রাদুর্ভাব কোভিড-১৯ মহামারির সঙ্গে উদ্বেগজনক মিল দেখা গেছে। পূর্বের মত হাসপাতালগুলি অসুস্থ শিশুদের নিয়ে পূর্ণ। আর এ কারনেই বিষয়টি বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. ভেরোনিকা মাতুটাইট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ইউরোপের কিছু শহর অন্যদের চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ডাক্তাররা এমনই ধারনা করছেন। ড. মাতুটাইট ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে লন্ডন, প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং আমস্টারডাম অসুস্থতার জন্য প্রথম ইউরোপীয় প্রবেশের পয়েন্ট হতে পারে। কারন এই শহরগুলি বৃহৎ ও ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল। এ ছাড়া শহরগুলি ট্রানজিট হাব।
তিনি বলেন, ইউরোপে প্রাদুর্ভাবের সম্ভাবনা ভ্রমণের সাথে সম্পর্কিত। চীন থেকে ইউরোপে আসা ভ্রমনকারীরা এই ভাইরাসের জীবাণু বহন করবে। নেদারল্যান্ডস ইনস্টিটিউট ফর হেলথ সার্ভিসেস রিসার্চ প্রকাশ করেছে যে, রাজধানী আমস্টারডামে গত সপ্তাহে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী প্রতি ১০০,০০০ শিশুর মধ্যে ৮০ জন শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশটির কর্মকর্তারা ব্যাখ্যা করতে পারেননি যে কেন এই সংখ্যা এত দ্রুত বাড়ছে। তবে তারা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ড. মাতুটাইট পরামর্শ দিয়েছেন যে ইউরোপের চারটি শহর এবং অন্যান্য স্থানগুলিতে আগত লোকদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ শুরু করা উচিত। সম্ভাব্য হুমকি সনাক্ত করতে এবং নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করার জন্য স্ক্রিনিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করা উচিত।
ডেইলি এক্সপ্রেসকে তিনি বলেন, ঘন ঘন হাত ধোয়া এবং জনসমাগমস্থলে মাস্ক পরার মতো মৌলিক স্বাস্থ্যবিধির উপর জোর দেওয়া উচিত এখন সবার। স্বাস্থ্যসেবায় কঠোর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অপরিহার্য এমতাবস্থায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দেশটিতে ক্রমবর্ধমান প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চীনকে তাদের নতুন তথ্য দেওয়ার দাবি জানানোর পরে এটি সামনে এসেছে। 'হোয়াইট ফুসফুস সিনড্রোম' দেশটিতে ছড়িয়ে পড়ায় চীনকে সতর্ক করা হয়েছে যে তাদের ফেস মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্ব ফিরিয়ে আনতে হবে। একটি অভ্যন্তরীণ সূত্র দাবি করেছে যে সম্ভাব্য নতুন মহামারীর আশঙ্কা বাড়তে থাকায় চীনা কর্মকর্তাদের সম্প্রতি প্রাদুর্ভাবকে গুরুত্ব না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চীনের শীর্ষ নেতৃত্বের এক সদস্য দাবি করেছেন, দেশটির প্রধান কর্মকর্তাদের সরাসরি চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের কাছ থেকে 'গোপন নির্দেশনা' দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে।
কেআই//