ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

চারণকবি বিজয় সরকারের ৩৮তম প্রয়াণ দিবস আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৪৫ এএম, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

একুশে পদকপ্রাপ্ত গুণী কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার ও সুরকার বিজয় সরকারের ৩৮তম প্রয়াণ দিবস আজ।

বার্ধ্যকজনিত কারণে ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতে পরলোকগমন করেন চারণকবি বিজয় সরকার। তিনি ১৯০৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার ডুমদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা নবকৃষ্ণ অধিকারী ও মা হিমালয়া দেবী। বিজয় সরকার নবমশ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন, মতান্তরে মেট্রিক পর্যন্ত। 

বিজয় একাধারে গীতিকার, সুরকার ও গায়ক। ১৮০০ বেশি গান লিখেছেন তিনি। প্রকৃত নাম বিজয় অধিকারী হলেও সুর, সঙ্গীত ও অসাধারণ গায়কী ঢঙের জন্য ‘সরকার’ উপাধি লাভ করেন। ‘পাগল বিজয়’ হিসেবে সমধিক পরিচিত তিনি।

আধ্যাত্মিক ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিজয় সরকার গেয়েছেন- ‘নবী নামের নৌকা গড়/ আল্লাহ নামের পাল খাটাও/ বিসমিল্লাহ বলিয়া মোমিন/ কূলের তরী খুলে দাও...।’ কিংবা ‘আল্লাহ রসূল বল মোমিন/ আল্লাহ রসূল বল/ এবার দূরে ফেলে মায়ার বোঝা/ সোজা পথে চল...।’

স্ত্রী বীনাপাণির মৃত্যুর খবরে গানের আসরেই গেয়েছেন- ‘পোষা পাখি উড়ে যাবে সজনী/ ওরে একদিন ভাবি নাই মনে/ সে আমারে ভুলবে কেমনে...।’ প্রিয়জনের উদ্দেশ্যে লিখেছেন- ‘তুমি জানো নারে প্রিয়/ তুমি মোর জীবনের সাধনা...’।

পল্লীকবি জসীমউদ্‌দীন-এর ‘নকশী কাঁথার মাঠ’ কাব্যগ্রন্থের নায়ক-নায়িকা ‘রূপাই’ ও ‘সাজু’র প্রেমকাহিনী নিয়ে বিজয় সরকার গেয়েছেন- ‘নকশী কাঁথার মাঠেরে/ সাজুর ব্যাথায় আজো রে বাজে রূপাই মিয়ার বাঁশের বাঁশি...।’ ‘কী সাপে কামড়াইলো আমারে/ ওরে ও সাপুড়িয়ারে/ আ...জ্বলিয়া পুড়িয়া মলেম বিষে’সহ অসংখ্য গান। 

২০১৩ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন ১৮শ’র বেশি গানের রচয়িতা বিজয় সরকার। 

এদিকে, বিকেলে নড়াইলে বিজয় সরকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উন্মুক্ত বিজয়গীতি পরিবেশন, প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, আলোচনা সভা এবং বিজয়গীতির আসর। 

এএইচ