‘মিগজাউম’ প্রভাবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, অতিক্রম করছে অন্ধ্রপ্রদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০১ এএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম গতি বাড়িয়ে আরও প্রবল হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানীসহ উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এটি আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে আজই ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫৩০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম সকাল নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্রমের নিকট দিয়ে ভারতের অন্ধপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহেক ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির আভাস দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা না থাকলেও এর প্রভাবে আজ থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
অপরদিকে, ঘূর্ণিঝড় মিগজাউ প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিতে চেন্নাইয়ের বহু রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় জনজীবন পুরো থমকে আছে।
আজ মঙ্গলবার বিকাল নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড়টি অন্ধপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে আছড়ে পড়ার কথা। তবে তার আগেই তামিলনাড়ুতে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে চেন্নাই শহর পানিতে ভেসে গেছে। প্রবল বেগে বইছে হাওয়াও। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বিমানবন্দর।
চেন্নাইতে আঘাত করার পর উত্তর তামিলনাড়ুর দিকে যাবে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম। উপকূলীয় জেলাগুলোতে দুর্গতদের সহায়তায় অন্তত পাঁচ হাজার ত্রাণকেন্দ্র খোলা হয়েছে। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতিতে নিবিড় নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন।
এএইচ