রাজধানীতে ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার ৪
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৫:০৫ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়সহ রাজধানীর ২১টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মুলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাজধানী বিভিন্ন এলাকা ও মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- পল্টন থানার স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো: আশিকুর রহমান পান্না (৩৪), মো: শফিকুল, মো: সুমন হোসেন ও মো: বিল্লাল হোসেন।
রাজধানীর মিন্টুরোডস্থ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) মহিদ উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ৩০ নভেম্বর নগরীর রমনা থানার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার তথা রির্টানিং অফিসারের কার্যালয় লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ঘটনার পরপরই রমনা থানা পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে- দুষ্কৃতিকারী আশিকুর রহমান পান্না বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের পূর্বপাশে অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব ভবনের ছাদ থেকে ককটেল নিক্ষেপ করে বিস্ফোরণ ঘটায়। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে পান্নার তথ্যের ভিত্তিতে শফিকুলকে গ্রেফতার করা হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারের পর পান্না ও তার সহযোগী শফিকুল নগরীর রমনা ও মতিঝিল এলাকায় আরো ৪টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণের কথা স্বীকার করে। তদন্তে রমনা থানা পুলিশ আশিকুর রহমান পান্না ও শফিকুলের ৯টি নাশকতার ঘটনায় একসাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পায়।
তিনি বলেন, এছাড়াও গ্রেফতারকৃত সুমন ও মো: বিল্লাল হোসেন রমনা পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ১২টি স্থানে ককটেল বিস্ফোরনের কথা স্বীকার করে।
কেআই//