ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ধ্বংস প্রায় কালের সাক্ষী মহেশপুরের ঐতিহাসিক নীলকুঠি 

তানভীর সুমন

প্রকাশিত : ০৯:২০ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৯:২১ পিএম, ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বুধবার

কপোতাক্ষ নদীর তীরে আজও দাঁড়িয়ে আছে  খালিশপুর নীলকুঠি। এই ঐতিহাসিক নীলকুঠি  ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর গ্রামে অবস্থিত।  এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। যা ভারত উপমহাদেশে নীল চাষের শুরুতে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি খালিশপুরে ১৪ একর জায়গার উপর এই দ্বিতল নীলকুঠিটি  নির্মাণ করে।

ধারণা করা হয় , কৃষক নিপীড়নের সাক্ষী এই নীলকুঠি  ১৮১০ থেকে ১৮৫৮ সাল পর্যন্ত কৃষকদের অত্যাচারের জন্য ব্যবহার হতো। একটা সময় নীলচাষীদের উপর ইংরেজদের অত্যাচারে বিক্ষুব্ধ কৃষকরা ১৮৬০ সালে উপমহাদেশে নীল বিদ্রোহের সূচনা করে। কালের পরিক্রমায় অন্যান্য নীলকুঠিগুলো ইংরেজরা বিক্রি করে দিলেও খালিশপুরের নীলকুঠি ভবনটি কৃষকদের বিদ্রোহের কারণে বিক্রি করতে পারেনি। ইংরেজদের ফেলে যাওয়া এই নীলকুঠি পরবর্তীতে জমিদাররা কাচারি ঘর হিসেবে ব্যবহার করতেন।

১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তকালীন সময়ে জমিদারি প্রথা উচ্ছেদ হলে কুঠি পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর খালিশপুর নীলকুঠি ভবনটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে নথিভুক্ত করে। তবে সরকারের কাছে স্থানীয়দের দাবি সংস্কারের মাধ্যমে যেন রক্ষা করা হয়,  কালের সাক্ষী এই ঐতিহাসিক নীলকুঠি ভবনটি।