ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিদেশি নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতেও তৎপর ছিল মুক্তিযোদ্ধারা (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১২:৫৭ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকাসহ সারাদেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের নিরাপদে নিজ দেশে ফিরতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে মুক্তি ও মিত্রবাহিনী। চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক আগমূহূর্তে পাকিস্তানি সেনারা যখন আরও নৃশংস হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠে, তখন বিদেশীদের প্রাণ বাঁচাতে মানবিক উদাহরণ তৈরি করে মুক্তিযোদ্ধারা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এতবড় গণহত্যা দেখেনি পৃথিবী। পাকিস্তানি সেনারা শুধু বাংলা ভূখণ্ড নিজেদের দখলে রেখে শোষণ করার জন্য খুন করে ৩০ লাখ মানুষ। দেশের জন্য এত বিপুল প্রাণত্যাগের মধ্যেও শক্রসেনা ছাড়া কাউকে হত্যা করেনি বাঙালি। এমন মানবতার দৃষ্টান্ত বিরল।

বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে যখন মুক্তিযোদ্ধাদের মুর্হুর্মূহু আক্রমণে দিশেহারা পাকিস্তানি জান্তা সরকারের সেনারা তখন- শুধু নিজভূমের মানুষ নয় বর্হিবিশ্বের নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতেও তৎপর ছিল মুক্তিযোদ্ধারা।

বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার জন্য বিমানবন্দরে অবতরণের সুবিধা ছাড়া দুইদিন বোমা নিক্ষেপ থেকে বিরত থাকারও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

 নাট্য ও সংস্কৃতিজন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, “মুজিবনগর সরকারের বিচক্ষণতা, দূরদর্শিতার ভেতর দিয়ে একটি যৌথ কমান্ড তৈরি হয়েছে এবং একেক একটি মহকুমা পতন হতে শুরু করলো। পতন হতে হতে এমন হয়েছে যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী পেছাতে পেছাতে ঢাকা ও এর আশপাশে এসে প্রায় অবরুদ্ধ পর্যায়ে এলো।”

শুধু তাই-ই নয় রণাঙ্গণে ধরা পড়া পাকিস্তানী সেনাদের যেন মুক্তিবাহিনীর হাতে সোর্পদ করা হয় তারও নির্দেশনা দিয়েছিল মুজিবনগর সরকার। 

অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী বলেন, “তাদের অহঙ্কার, পৃথিবীর কোনো সেনাবাহিনী আমাদের পরাজিত করতে পারবেনা। এই অহঙ্কার নিয়ে তখনও তারা ছিলেন কিন্তু একটি পর্যায়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং বিজয় যখন অনিবার্য হয়ে উঠলো, আর কোনো পথ নেই তখন তারা আত্মসমর্পণ করলো।”

এদিকে, একাত্তরের ডিসেম্বরের এদিনে পাকিস্তানের পক্ষে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রচারণার বিরুদ্ধে আর্ন্তজাতিক কূটনৈতিক শক্তি বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে একমত হয় বাংলাদেশ-ভারত সরকার। 

এএইচ