দেশি-বিদেশিদের দৃষ্টি থাকবে ৭ জানুয়ারির ভোটে (ভিডিও)
মানিক শিকদার
প্রকাশিত : ১২:১৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ১২:১৮ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে মাঠে থাকবে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক দল। ৩৪ দেশের কমিশনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। আর দেশের ৯৬টি সংস্থার পাশাপাশি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের দৃষ্টি থাকবে ৭ জানুয়ারির ভোটে। বিএনপি না আসলেও ৩০টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অংশগ্রহণে এবারের নির্বাচন উৎসবমুখর ও অর্থবহ হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য মাঠে থাকবে ৯৬টি দেশীয় সংস্থা।
এর মধ্যে নতুন নিবন্ধন পেয়েছে ২৯ সংস্থা। এর আগে ৬৭ সংস্থাকে পাঁচ বছরের জন্য নিবন্ধন দেয় ইসি। ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন সামনে রেখে প্রস্ততি নিচ্ছে দেশীয় পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, “সাধারণ মানুষ নির্বাচনের বাইরে নয়, নির্বাচন চাচ্ছেন এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাচ্ছেন। ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের পক্ষ থেকে ৫১টি সংগঠনের আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৮ হাজার পর্যবেক্ষকের তালিকা সম্পন্ন করেছি। এটার সংখ্যা আরও বাড়বে।”
অন্যদিকে, ১৭৯ বিদেশি পর্যবেক্ষক আবেদন করেছেন নির্বাচন কমিশনে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অনুমোদন দেয়া ছাড়াও ৩৪ দেশের নির্বাচন কমিশন ও চারটি সংস্থার ১১৪ জনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইসি। আমন্ত্রিত দেশগুলোর মধ্যে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ফ্রান্স, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মিশর, তুরস্ক, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, জাপান ও রাশিয়া রয়েছে।
পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশের সাংবাদিকরাও আসছেন নির্বাচনে চোখ রাখতে।
মোহাম্মদ আবেদ আলী বলেন, “হোয়াইট হাউস থেকে একজন প্রতিনিধি আসছেন, নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করেন সেরকম প্রতিনিধি আসছেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের সহকারী যিনি ছিলেন তিনিও আসছেন। অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটা শক্তিশালী পর্যবেক্ষক টিম এবার নির্বাচনে পর্যবেক্ষণে অংশ নিচ্ছেন।”
পর্যবেক্ষকদের সতর্ক পর্যবেক্ষণে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক হবে বলেই মনে করছেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক।
অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারি বলেন, “জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক কিংবা পর্যবেক্ষক দলের ভূমিকা যথেষ্ট রয়েছে। এই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চয়ই পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণ এবং তাদের মূল্যায়নের উপর নির্ভর করবে বলে আমি মনে করি। ডিজিটাইলেশনের এই যুগে নির্বাচনে কারচুপি করা, কারচুপিকে প্রশ্রয় দেয়া খুব সহজ কোনো ব্যাপার নয়।”
বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নিয়ে এখনও সহিংসতার পথে; তাই ভোটার ও পর্যবেক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এএইচ