গাজায় প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই খাবার জুটছে না
দুলি মল্লিক
প্রকাশিত : ০২:৫৬ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার
ইসরায়েল-হামাসের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে গাজায় অর্ধেকেরও বেশি মানুষ অনাহারে ভুগছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। এ অবস্থায় মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবি জোরালো হলেও হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। আর এ হামলায় সহায়তা করতে মার্কিন কংগ্রেসকে পাশ কাটিয়ে ইসরায়েলের কাছে ১৪ হাজার ট্যাংকের গোলা বিক্রি করছে বাইডেন প্রশাসন। এদিকে, সংবাদ মাধ্যম বলছে গাজায় নিহতদের মধ্যে ৬১ শতাংশই মারা গেছে বিমান হামলায়।
একটু খাবারের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। গাজায় জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের সামনে হাজারো ক্ষুধার্ত মানুষের ভীড়।
শূন্য সব দোকান। গেল দু’মাস ধরে চলমান যুদ্ধে বিধ্বস্ত কিংবা বন্ধ অধিকাংশ খাবারের দোকান।
শরণার্থী শিবিরেও চলছে খাবারের জন্য লড়াই। গাজায় খাবার ও বিশুদ্ধ পানির জন্য ফিলিস্তিনিদের এমন আকুতিই স্পষ্ট করে পরিস্থিতি কতোটা বিপর্যস্ত।
সম্প্রতি গাজা পরিদর্শন শেষে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির উপপরিচালক কার্ল স্কাউ বলেন, একটিমাত্র সীমান্ত দিয়ে সীমিত ত্রাণ ঢুকছে গাজায়। এখানকার প্রতি ১০ জনের মধ্যে ৯ জনেরই প্রতিদিন খাবার জুটছে না।
এ অবস্থায় বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা যুদ্ধবিরতির জোরালো দাবি জানালেও ইসরায়েল বলছে, আরও অন্ততঃ দু’মাস বিরতিহীনভাবে চলবে হামলা-অভিযান।
দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহর ছাড়তে আবারও নির্দেশনা দিয়েছে ইসরায়েল। দু’দিক থেকে শহরটি ঘিরে অভিযান চালাচ্ছে স্থলবাহিনী।
এমন পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ভেটো দেয়ার পর এবার বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি করছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগন জানায়, কংগ্রেসকে এড়িয়ে দ্রততম সময়ে ইসরায়েলের কাছে ১৪ হাজার ট্যাংকের গোলা বিক্রির জন্য আর্মস এক্সপোর্ট কন্ট্রোল অ্যাক্টের জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
এদিকে, খোদ ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমের বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে বলা হয়- হামাস নয়, ইসরায়েলী হামলার শিকার হচ্ছে সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। নিহতদের মধ্যে ৬১ শতাংশই বিমান হামলার শিকার।
বিংশ শতাব্দিতে পুরো বিশ্বে সব সংঘাতে গড়ে নিহতের তুলনায় গাজায় দু’মাসে হতাহতের সংখ্যা অনেক বেশি বলেও উল্লেখ করা হয়।
এএইচ