ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

টিসিবির ৯০ টন পেঁয়াজ ৫ দিনেও হয়নি খালাস, পচনের শঙ্কা 

জামাল হোসেন, বেনাপোল থেকে

প্রকাশিত : ০৮:৫১ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর নামে ভারত থেকে আমদানি করা ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ পাঁচ দিনেও খালাস করতে পারেনি আমদানিকারক। কাগজপত্র জটিলতার কারণে খালাস করা যায়নি বলে জানিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট। এদিকে পেঁয়াজগুলোতে পচন শুরু হয়েছে। 

একই প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ৯০ মেট্রিক টন (৩ ট্রাক) বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় পেট্রাপোল বন্দরে অবস্থান করছে। 

ভর্তুকি দিয়ে এসব পেঁয়াজ টিসিবি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারি মূল্যে খোলা বাজারে অন্যান্য পণ্যের সাথে কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করবে নিম্নআয়ের মানুষের কাছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ডিসেম্বর টিসিবি’র নামে ৩টি ট্রাকে আমদানি করা এসব পেঁয়াজ গত পাঁচদিন ধরে বন্দরে পড়ে আছে। পেঁয়াজের চালান খালাস না করায় তা নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ।
    
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, কি কারণে খালাস হচ্ছে না সেটা জানা নেই। তবে সিএন্ডএফ এজেন্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, ঢাকা থেকে পেঁয়াজ ছাড়পত্রের কাগজপত্র না আসায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সিএন্ডএফ এজেন্ট জানিয়েছেন সোমবার খালাস নেওয়া হতে পারে এসব পেঁয়াজ।

পেঁয়াজ নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাকচালক মুস্তাকিন মন্ডল বলেন, তিন ট্রাক পেঁয়াজ নিয়ে গত পাঁচদিন ধরে বেনাপোল বন্দরে এসে বসে আছি। পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেউ আনলোড করতে আসছে না। কবেনাগাদ খালাস হবে সেটাও জানতে পারছি না। খালাসের জন্য কোনো আমদানিকারকের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। 

পেঁয়াজের চালানটি খালাসের দায়িত্বে আছে কনফিডেন্স এন্টারপ্রাইজ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
     
বেনাপোল স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, ভারত থেকে টিসিবির নামে আমদানি করা পেঁয়াজের ট্রাকগুলো পাঁচদিন আগে বেনাপোল স্থলবন্দরে আসে। এসব ট্রাকে ৯০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রয়েছে। এখনও আমাদের কাছ থেকে ছাড়পত্র নেওয়া হয়নি।

বাণিজ্যিক সংশ্লিষ্টরা জানান, দ্রব্যমূল্যের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে নিম্নআয়ের মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে গত কয়েক বছর ধরে দেশের এক কোটি এক লাখ পরিবারের কাছে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য বিক্রি করে আসছে টিসিবি। খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে প্রত্যেক পরিবারের জন্য দুই কেজি পেঁয়াজ, এক কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল ও পাঁচ কেজি চাল। এসব নিত্য পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের যোগান দিতে ভারত থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। 

উল্লেখ্য, গত ১ অক্টোবর ভারত থেকে টিসিবি’র নামে ৭টি ট্রাকে ২০১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এছাড়াও চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি তিন হাজার ৮০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল ও এর আগে গত বছরের ২১ ডিসেম্বর তিন হাজার ২০০ মেট্রিক টন মুসুরের ডাল ও ৪ ডিসেম্বর দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে টিসিবি। 

এএইচ