রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে আজ শত্রুমুক্ত হয় কুষ্টিয়া
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:১৬ এএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার
আজ ১১ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে কুষ্টিয়া জেলার মুক্তি সেনারা সংগ্রাম করে পাকিস্তানী বাহিনীর হাত থেকে কুষ্টিয়াকে মুক্ত করেছিলেন। ১৬ এপ্রিল থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২২টি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে সেদিন কুষ্টিয়া শত্রু মুক্ত হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সুতিকাগার কুষ্টিয়া মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সেদিন সারাদেশের ন্যায় কুষ্টিয়াও মুক্তিকামী মানুষ রক্ত দিয়েছিল হাসতে হাসতে।
অত্যাধুনিক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হানাদার পাকসেনার বিরুদ্ধে সাহসী বাঙালি তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা অমিত তেজে অসীম সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করে কুষ্টিয়ার পবিত্র মাটি পাকিস্তানী হানাদারদের হটিয়ে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছিল।
হাজার হাজার মুক্তিকামী মানুষের গগণবিদারী ‘জয় বাংলা’ স্লোগোনে সেদিন কুষ্টিয়ার আকাশ-বাতাস মুখোরিত হয়ে উঠেছিল। লাঠি-সড়কি, ঢাল- তলোয়ার নিয়ে হরিপুর-বারখাদা, জুগিয়া, আলামপুর, দহকোলা, জিয়ারুখী, কয়া, সুলতানপুর, পোড়াদহ, বাড়াদিসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ ছুটে এসেছিল কুষ্টিয়া শহরে।
দীর্ঘ ১৭ দিন মুক্ত থাকার পর কুষ্টিয়া পুনরায় শত্রুদের হাতে চলে যায়। এরপর পাকিস্তানী সেনারা শহরে প্রবেশ করেই অগ্নিসংযোগ, গণহত্যা এবং ত্রাসের রাজত্ব চালিয়ে যায়। সে সময় শহরেও লোকসংখ্যা খুবই কম ছিল। যারা ছিল তাদের মধ্যে অনেকেই পাকিস্তানী সেনাদের হাতে নিহত হন।
এরপর ১০ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া চৌড়হাস মোড়ে ভারতীয় মিত্র বাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর সাথে পাক বাহিনীর যুদ্ধ শেষে ১১ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া মুক্ত হয়েছিল।
সেদিনের ছাত্রলীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান মাসুম জানান, সেদিন দেশ স্বাধীন করেছিলাম সকল মানুষের মুক্তির জন্য। আজ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি এবং দেশে সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জঙ্গিবাদ দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ যুদ্ধের পর একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক দেশ দেখার স্বপ্ন ছিল আমাদের।
এএইচ