আসন ভাগাভাগি নিয়ে শরিকদের সঙ্গে শিগগিরই সমঝোতা: তথ্যমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন ভাগাভাগি নিয়ে শরিক দলগুলোর সঙ্গে শিগগিরই সমঝোতা হবে।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আশা করছি দ্রুতই শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হবে। তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত আলোচনা চলছে। ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতা হবে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী তো সব সময় নির্বাচনে থাকে।
তিনি বলেন, আমাদের দল থেকে অনেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। আবার আমাদের দল করে না এমন অনেকেই হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। এ প্রার্থীদের অনেকেই বাতিল হয়েছিলেন। দেখা যাচ্ছে যে প্রথমদিন আপিলের পর ৫০ শতাংশের বেশি প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফেরত পেয়েছেন। আমি মনে করি, তাদের অংশগ্রহণ নির্বাচনকে উৎসবমুখর করার ক্ষেত্রে সহায়ক হচ্ছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে দলের অবস্থান কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের অভ্যন্তরে এটা নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রয়োজন হলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসককে বদলি করা হয়েছে, সেখানে আওয়ামী লীগের বিরোধী প্রার্থীরা বলেছেন, ডিসি আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়েছে বা ওইভাবে কাজ করছে না, এতে কি আপনি মনে করেন নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাচ্ছে এবং সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করছে?
তিনি বলেন, এই যে বিভিন্ন ওসি বদলি, ইউএনও, ডিসি বদলি, এসব এত ব্যাপকভাবে আগে কখনো হয়নি। এতেই প্রমাণিত নির্বাচন কমিশন অনেক শক্তিশালী। পাশাপাশি সরকার নির্বাচন কমিশনকে সব দিক থেকে সহায়তা করছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চান, এবং এখনো নির্বাচনকে বাধা দেওয়ার পক্ষে অবরোধ ডাকছেন। তারাও বুঝতে পেরেছেন নির্বাচন সুন্দর, স্বচ্ছ এবং ব্যাপক হারে জনগণের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে হতে যাচ্ছে। সে কারণে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসতে সম্মত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া যে স্বচ্ছ তারও বহিঃপ্রকাশ। সব দেশে কিন্তু এভাবে হলফনামা প্রকাশ করা হয় না। ডোনাল ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার পর এবং প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তিনি তার ট্যাক্স ফাইল প্রকাশ্যে আনেন নাই। আর আমাদের দেশে ট্যাক্স ফাইল প্রকাশ করা বাধ্যতামূলক।
কেআই//