ধর্ষণের মামলায় লতা হারবালের মালিক গ্রেপ্তার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:২৪ পিএম, ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার
ধর্ষণের অভিযোগে লতা হারবালের মালিক আইয়ূব আলী ফাহিম গ্রেপ্তার হয়েছেন। ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া ধর্ষণ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী জানান, চার মাস ধরে তিনি ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। পারিবারিক চাপে তিনি এত দিন মুখ খুলতে সাহস পাননি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে তিনি থানায় মামলা করেন। ভুক্তভোগী নারী গ্রেপ্তার হওয়া আইয়ূব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে।
ধানমন্ডি থানার ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আজ লতা হারবালের মালিক আইয়ূব আলী ফাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের প্রমাণ পেয়েছি। ভিডিও পেয়েছি যেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। আসামিকে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।
এদিকে একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের সময় আইয়ূব আলী ফাহিমের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ অস্ত্রের বৈধতা এবং গুলির হিসাবের বিষয়ে তিনি সদুত্তর দিতে পারেননি।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের মার্চ মাসের ৩০ তারিখ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। এরপর ধারাবাহিকভাবে চার মাস বাসায় আটকে রেখে অস্ত্রের মুখে একই কায়দায় ধর্ষণ করতেন বলে দাবি করেন ভুক্তভোগী নারী।
ভুক্তভোগী মামলায় আরও অভিযোগ করেন, অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণা করে রাখেন ফাহিম। ভয়ভীতি দেখান, যদি এই ঘটনা কাউকে বলা হয় তাহলে অনলাইনে ছেড়ে দেবেন। এরই মধ্যে তিনি ২০২২ সালের মার্চ মাসের ৫ তারিখ ফাহিমের বাসা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তার মায়ের কাছে চলে যান। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে দেশে রেখে যাওয়া তার শিশুপুত্রকে উদ্ধার করতে ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী।