‘স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন ত্যাগী মানুষ`
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:১৮ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
‘স্বেচ্ছা রক্তদাতারা রক্তদানের মাধ্যমে কোনো রকম প্রত্যাশা ছাড়াই মূলত নিজ অস্তিত্বের একটি অংশ দান করেন। তাদেরকে অভিনন্দন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এমন ত্যাগী মানুষেরই প্রয়োজন।'
সোমবার (১১ ডিসেম্বর ) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলস্থ ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতা সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান।
এসময় তিনি স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের হাতে সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট ও মেডেল তুলে দেন। কমপক্ষে ৩ বার রক্তদান করে লাইফ লং, ১০ বারের দানে সিলভার, ২৫ বারের গোল্ডেন এবং ৫০ বার রক্তদান করে প্লাটিনাম ক্লাবের সদস্য হয়েছেন-এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা প্রদান করে কোয়ান্টাম।
মো. খলিলুর রহমান বলেন, মুমূর্ষু কিংবা ঝলসে যাওয়া রোগীদের জন্যে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের রক্তদানের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। নতুন প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। রক্তদান ছাড়াও কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রম উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মেডিটেশন এখন বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি।
কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক নাহার আল বোখারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষ থেকে অনুভূতি বর্ণনা করেন ৫১ বার রক্তদানকারী সাংবাদিক মোহাম্মদ মাহমুদুজ্জামান এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত সাবিকুন নাহার আশপিয়া। স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের 'সামাজিক বীর' উল্লেখ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি দেশে রক্ত চাহিদা পুরোপুরি মেটাতে নতুন স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের এগিয়ে আসার মানবিক আহ্বান জানান আলোচকরা।
প্রসঙ্গত, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতেই নিয়মিত এমন সম্মাননা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে কোয়ান্টাম। সাড়ে চার লক্ষাধিক ডোনার পুল নিয়ে গঠিত কোয়ান্টাম ল্যাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ১৫ লক্ষাধিক ইউনিট রক্ত ও রক্ত উপাদান। গড়ে প্রতি বছর সেবার এ সংখ্যা এক লাখেরও বেশি ইউনিট।
কেআই//