ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

কুষ্টিয়ায় ৩০তম বাৎসরিক ওরশ মোবারক ও গুণীজন সম্মাননা 

কুমারখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:০২ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:০৭ পিএম, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

উপমহাদেশের সাধুগুরুদের চরণভূমি সাংস্কৃতির রাজধানী কুষ্টিয়ার অন্যতম প্রধান উপজেলা কুমারখালীর বাঁশআড়া গ্রামে ১৯৯১ সালে বাঁশাআড়া কাশিমপুর ভান্ডারিয়া দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠিত হয়।

হিলালপুরী দরবার শরীফের পীরে কামেল হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক (রহঃ) এর দ্বিতীয় খলিফা পীরে কামেল শাহ সুফি মোঃ নকছের আলী ভান্ডারী (রহঃ) তার গুরুর প্রতিশ্রুত বাঁশআড়া কাশিমপুর ভান্ডারিয়া দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। উক্ত দরবারের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তার একনিষ্ঠ ভক্ত ও তার বড় ছেলে মোঃ সুজন ভান্ডারী। বহু গুণী মানুষের তীর্থস্থান এই দরবার শরীফ। বিখ্যাত কবি সাহিত্যিক ও সাংবাদিক সৈয়দা রাশিদা বারী উক্ত দরবার শরীফের আজীবন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ভক্তি ও নিষ্ঠার সাথে দরবারের কর্মকান্ডে যুক্ত রয়েছেন। 

প্রায় ৩০বছর ধরে একই দিনে একই নিয়মে পালিত হয়ে আসছে ৩দিন ব্যাপী স্মরনসভা ও ওরশ মোবারক। প্রতিবছরই বহু গুনীজনকে সম্মাননা প্রদান করা হয় উক্ত দরবার শরীফের পক্ষ থেকে। ভান্ডারীয়া দরবার শরীফে গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে শাহ্ সূফি হযরত নকছের আলী মাইজভান্ডারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমারখালী পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ এর মা’ মমতাজ বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক আন্দোলনের বাজারের পত্রিকার সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, বিখ্যাত গীতিকার ও কবি সৈয়দা রাশিদা বারী, কুমারখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান তারেক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ হারুন, নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মোঃ নয়ন আলী প্রমুখ।

উক্ত দরবারে দেশ বিদেশ থেকে প্রতিবছরই বহু ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে থাকে। বাঁশআড়া কাশিমপুর ভান্ডারিয়া দরবার শরীফ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইসলামীক নীতি আদর্শ, আধ্যাত্মিক ধর্মচর্চা ও সুফি সাধক, ওলি আউলিয়াদের বানী ও নীতি আদর্শ মেনে ভক্তবৃন্দের নৈতিকতা ও প্রেম ভক্তি শিক্ষা দিয়ে চলেছেন। শাহ সুফি মোঃ নকছের আলী ভান্ডারী অত্যন্ত ন্যায় নিষ্ঠার সাথে তার দরবার পরিচালনা করে চলেছেন। তিনি বলেন- একদিন আমি থাকবো না। কিন্তু কালের সাক্ষী হয়ে ভক্তদের অপার ভালবাসায় যুগের পর যুগ তার জ্ঞান ও সাধনার মহিমা ছড়াবে, যেমনটি ছড়াচ্ছে লালন, মীর মশাররফ, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তার একটাই স্বপ্ন উক্ত দরবারটি আধ্মাতিক সাহিত্য, সংগীত ও সাংস্কৃতির ধারক হিসেবে একাডেমী রুপে প্রতিষ্ঠাতা করা।

আমাদের একুশে টেলিভিশন এর পক্ষ থেকে উক্ত দরবার শরীফের সমৃদ্ধি ও শুভকামনা করছি। শাহ সুফি মোঃ নকছের আলীর জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক সমগ্র বিশ্বে।