লোহিত সাগরে পণ্যবাহী জাহাজে হুথিদের হামলা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৫০ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ শুক্রবার
ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা শুক্রবার লোহিত সাগরে একটি পণ্যবাহী হামলা চালিয়েছে। সাগরের এই পথ দিয়ে নিয়মিত বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল করে। হামলার ফলে জাহাজটিতে আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছে এএফপি।
ইরান-সমর্থিত হুথিরা ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে কিন্তু তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নয়। হুথিরা জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকায় দুই মাস ধরে চলমান হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে ইসরায়েলকে চাপে রাখার জন্য জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা এএফপিকে বলেছেন, ‘আমরা সচেতন যে ইয়েমেনের হুথি-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল থেকে উৎক্ষেপণ করা কিছু একটা জাহাজটিকে আঘাত করেছিল। ফলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও আগুন লেগে যায়।’
তেল আবিবে বক্তৃতায়, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ‘হুথিরা যেহতু ট্রিগার টানছে, তাই বলা যায় ইরান তাদের বন্দুক দিয়েছে।’
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জাহাজটিকে লাইবেরিয়া-পতাকাবাহী আল-জাসরাহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এটি ২০১৬ সালে নির্মিত ৩৭০ মিটার কন্টেইনার জাহাজ।
প্রাইভেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম অ্যামব্রে বলেছে, জার্মান পরিবহন কোম্পানি হাপাগ-লয়েডের মালিকানাধীন জাহাজটি ইয়েমেনের উপকূলীয় শহর মোখার উত্তরে বিমান হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হুথিরা বলেছে, তারা তাদের জাতীয়তা নির্বিশেষে ইসরায়েলে ভ্রমণকারী যেকোন জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু করবে এবং এখন প্রায় প্রতিদিনই আক্রমণ শুরু করছে। যদিও বেশিরভাগই ব্যর্থ হয়েছে।
হ্যাপাগ-লয়েডের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘আমাদের একটি জাহাজে হামলা হয়েছে।’ জাহাজটি গ্রিক বন্দর পাইরাস থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জাহাজটি এখন তার গন্তব্যের দিকে যাত্রা করছে।
ইয়েমেন ও উত্তর-পূর্ব আফ্রিকার মধ্যবর্তী সংকীর্ণ প্রণালী বাব আল-মান্দাবের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটছে। এই প্রণালী দিয়ে বেশিরভাগ বৈশ্বিক বাণিজ্য হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা দিয়ে যায়। পথটি লোহিত সাগর, ইসরায়েলের দক্ষিণ বন্দর ও সুয়েজ খালের দিকে প্রবাহিত।
এই অঞ্চলে ট্রানজিট করা জাহাজগুলোর জন্য বীমা খরচ সাম্প্রতিক দিনগুলোতে অনেকে বেড়েছে। যদিও লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে যাওয়া যুদ্ধজাহাজগুলো সুসজ্জিত ও প্রতিশোধ নিতে সক্ষম তবে বাণিজ্যিক জাহাজে এই ধরনের সুরক্ষা নেই।
কেআই//