পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে প্রতিবাদের মুখে ভারত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:৫৮ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ রবিবার
এ মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশটির কৃষকদের মারাত্মক ক্ষতির মুখে ফেলেছে। অবিলম্বে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি শক্তিসিংহ গোহিল। তার অভিযোগ, এই সিদ্ধান্ত কেবল মজুতদার ও মধ্যস্বত্বভোগীদেরই সাহায্য করছে।
এদিকে গুজরাট ও মহারাষ্ট্রের চাষিদের কাছে পেঁয়াজ অন্যতম প্রধান শীতকালীন ফসল উল্লেখ করে শক্তিসিংহ বলেন, সরকার যদি রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে না চায়, তাহলে অবশ্যই কৃষকদের আশ্বাস দিতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার আগের দামে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবে।
এ মাসের শুরুর দিকে হঠাৎ করেই পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। এর জন্য অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম স্থিতিশীল রাখার যুক্তি দেওয়া হলেও এ বিষয়ে আগাম কারও সঙ্গে পরামর্শ করেনি সরকার। ঘোষণা অনুসারে, ২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত বহাল থাকবে এ নিষেধাজ্ঞা।
কিন্তু এরই মধ্যে পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছেন দেশটির বিভিন্ন জেলার কৃষকরা। মহারাষ্ট্রের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা নাসিকে কৃষকরা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এবং অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।
এদিকে কৃষক ও ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা আগেই পেঁয়াজ বিক্রির অর্ডার নিয়েছিলেন এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। কৃষকদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে নিলাম বাতিল করেছে সোলাপুর এপিএমসি (কৃষিপণ্য বাজার কমিটি)। এর ফলে সেখানেও বেচাকেনা বিঘ্নিত হচ্ছে। সৌরাষ্ট্রের কৃষকরাও পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেছেন।
গোন্ডল মার্কেট ইয়ার্ডে তুমুল বিক্ষোভ ও নিলাম বন্ধ রাখার ঘটনা ঘটেছে। কৃষকরা পেঁয়াজ ফেলে মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কৃষকদের এই আন্দোলনে শামিল হয়েছেন এনসিপি সভাপতি শরদ পাওয়ার। অবিলম্বে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কঠোর পরিশ্রমকে উপেক্ষা করছে।
এদিকে পাওয়ার বলেছেন, তিনি নয়াদিল্লিতে এবং চলমান সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন। তার মতে, অসময়ের বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টিতে আগে থেকেই ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহায়তার জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা উচিত।
এমএম//