ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রাজধানীর  অধিকাংশ ট্রাফিক সিগন্যালের লাইট অকেজো!

তানভীর সুমন।

প্রকাশিত : ১১:০৪ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সোমবার

রাজধানী ঢাকার  অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক সিগন্যালগুলোতে অব্যবস্থাপনা বৃদ্ধি পেয়েছে। নীলক্ষেত, শাহবাগ, ফার্মগেট, পান্থপথসহ রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সিগন্যালগুলোতে অধিকাংশ লাইট অকেজো । সিগন্যাল লাইটগুলোর স্বল্প আলোর কারণে ঠিকমতো যানবাহন চলাচল করতে সমস্যা হচ্ছে। যার কারণে ভোগান্তির শেষ নেই অধিকাংশ পথযাত্রীর। মাঝেমধ্যেই ঘটছে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা।

যদিও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ট্রাফিক সিগন্যাল সমূহের অব্যবস্থাপনার সমাধানে কাজ শুরু করেছে।  যথাযথ ট্রাফিক পুলিশিং এবং পর্যাপ্ত আলো সম্পন্ন ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট নিশ্চিত করতে দ্রুত  কাজ শুরু করবে প্রতিষ্ঠানটি । পথচারী এবং যানবাহনের যাত্রীরা যেনো হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার না হয়, সেই দিকেও  দেয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব ‌। 

বিশিষ্টজনদের মতে রাজধানীতে প্রায় ১৮ ধরনের গাড়ি চলাচল করে। সব গাড়ির গতি বা চলার ধরনও এক না। কিন্তু সবুজ সিগন্যাল দেখার পরে কত দূরত্ব সিগন্যাল পার হয়ে যাবে সেটা দেখতে হবে। কিন্তু ঢাকায় সেটা সম্ভব না। কারণ, একটি প্রাইভেটকারের সামনে অনেক সময় রিকশা বা ইজিবাইক থাকে। যার কারণে  চালক ইচ্ছে করলেই বেরিয়ে যেতে পারেনা। এই অবস্থা থাকলে কোনও সিগন্যাল লাইট কাজ করবে না। এজন্য রিকশাকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে কর্তৃপক্ষকে আরও ভেবেচিন্তে দিতে হবে। তাদের চলাচলের জন্য একটা নিয়ম করে দিতে হবে। তারা প্রধান কোনও সড়কে উঠতে পারবে না, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।

তবে অনেকেই মনে করেন ঢাকায় যানজট নিরসনে একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। সিটি করপোরেশন, বিআরটিএ, সড়ক বিভাগ ও মহানগর পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করা অতি জরুরী। এছাড়া অটোরিকশা  বন্ধ করতে হবে । সর্বোপরি সরকারের পাশাপাশি রাজধানী বাসীদের এই বিষয়ে  আরো সচেতন হতে হবে।