ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বেনাপোলে মিথ্যা ঘোষণায় আনা ১২ ট্রাক ফেব্রিকস আটক

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

যশোরের বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানির মিথ্যা ঘোষণায় আনা চারটি চালানের (১২ ট্রাক) ফেব্রিকসের একটি চালান আটক করেছে বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। 

সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ চালানের ওই পণ্য আটক করে কাস্টমসের তত্বাবধানে রাখা হয়েছে। কাস্টমসের ধারণা, আটক চালানটির মূল্য ১৫ কোটি টাকার উপরে হবে।

কাস্টমস সূত্র জানায়, আটক পণ্যের আমদানিকারক দিনাজপুরের রোজামনি এন্টারপ্রাইজ। রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের সুন্দরী ফ্যাশন। কাগজপত্রে দেওয়া আছে সিনথেটিক ফেব্রিকস কিন্তু আছে সব শার্টিং ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফেব্রিক্স। 

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে সিনথেটিক ফেব্রিক্সের স্থলে শার্টিং ফেব্রিক্স, চিনাউল ফেব্রিক্স ও ভেলভেট ফেব্রিক্স আমদানি করা হয়েছে। পণ্য চালানটি বন্দরে প্রবেশের সময় বন্দরের ওজন স্কেলে ৮ টন পণ্য বেশি থাকলেও স্কেলে কর্মরত বন্দরের কর্মকর্তারা পণ্যটি সঠিক আছে বলে ওজন নিশ্চিত করে ওজন স্লিপ দেন।

জানা যায়, পণ্যচালানগুলো খালাসের দায়িত্বে ছিলেন বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট তৃণা অ্যাসোসিয়েটস ও অনন্তা এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড।

পণ্য চালানগুলো খালাসের দায়িত্বে নিয়োজিত শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমার নিজের কোনও লাইসেন্স নেই, ভাড়া লাইসেন্সেই কাজ করি। তবে মালামালগুলো কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এখনও পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেনি। টিয়ারজনিত কারণে দুই এক টন মালামাল বেশি থাকতে পারে।

স্থানীয় কয়েকজন সিএন্ডএফ মালিকরা জানান, আমরা সৎ ভাবে ব্যবসা করে সংসার চালাতে পারছি না। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ও এলাকার কিছু যুবক বেনাপোলের কিছু সিএন্ডএফ লাইসেন্স ভাড়া নিয়ে দুই নম্বরী কাজ করে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়ে গেছেন। 

কাস্টমস হাউজের নাম প্রকাশে এক কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিকভাবে পণ্য চালানটি আটক করে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার শতভাগ পরীক্ষার কাজ করা হবে। তারপর নিশ্চিত বলা যাবে কত টন মাল বেশি, বৈধ পণ্যের সাথে অবৈধ কোন পণ্য আছে কি না, পণ্যের মূল্য ও শুল্ক ফাঁকির পরিমাণ জানা যাবে।

বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আব্দুল হাকিম বলেন, ‘কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পণ্য চালানগুলো ভারতীয় ট্রাক থেকে বন্দরের শেডে আনলোড করা হয়েছে। তবে শতভাগ কায়িক পরীক্ষণ কার্যক্রম যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করা হবে। বর্তমানে বেনাপোল বন্দরে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। অনিয়ম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’ 

এএইচ