কক্সবাজার-১: নিরাপত্তা চেয়ে সিইসিকে ১৫ জনপ্রতিনিধির চিঠি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:০৬ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
কক্সবাজার-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গুম-হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ এনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বরাবর চিঠি দিয়েছেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৫ জনপ্রতিনিধি। চিঠিতে তারা সিইসির কাছে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়েছেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে আবেদনটি পৌঁছে দেন তারা।
আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন - চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফজলুল করিম, পেকুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উম্মে কুলসুম, কক্সবাজার জেলা পরিষদ সদস্য আবু তৈয়ব, সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিমুল হক, কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন, বমুবিলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনজুরুল কাদের, লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খ ম আওরঙ্গজেব বুলেট, বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরে হোছাইন আরিফ, বি এম চর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন আহমেদ, রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাবুল, মগনামা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুছ চৌধুরী এবং বারবাকিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বদিউল আলম।
আবেদন বলা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন সম্পন্ন করা বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। একই সাথে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি নিরপেক্ষ অবাধ,সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচন উপহার দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা সেই লক্ষ্যে নিজ নিজ এলাকায় আমাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচনী কাজ করে যাচ্ছি। একই সাথে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভেটারকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। যা পরোক্ষভাবে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশের সহায়ক।
যেখানে আরও বলা হয়, বর্তমান সংসদ জাফর আলম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ট্রাক গাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার পক্ষে কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কার প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তার গঠিত নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তার উশৃংখল কর্মী বাহিনী দ্বারা হাত ঘড়ি প্রতীকের নির্বাচনী পোষ্টার, ব্যানার, লিফলেট ও ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এমনকি ব্যানার, পোষ্টার, ফেস্টুন লাগাতেও বাধা প্রদান করা হচ্ছে। যা গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহান সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লংঘন। এ ধরনের হুমকি প্রদর্শন, চাপ প্রয়োগ এবং নির্বাচনী সরঞ্জাম ছিড়ে ফেলা ও লাগাতে বাধা প্রদানের মত অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় এবং আমরা জনপ্রতিনিধিগণও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ অবস্থায় চলমান ভীতিকর পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনের সংশয় দূর করতে কক্সবাজার-১ আসনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিরাপত্তা বিধান ও হয়রানিরোধে উল্লেখিত অভিযোগ যাচাই স্বাপেক্ষে পরবর্তী কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।