৩৩৫ তম মঞ্চায়নে ‘লালজমিন’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৫ পিএম, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
পরপারে চলে গেছেন দেশের অন্যতম নাট্যকার মান্নান হীরা, রেখে গেছেন তার অনবদ্য সৃষ্টি। যে সৃষ্টি বার বার স্মরণ করিয়ে দেয় তার কথা। মান্নান হীরা রচিত তেমনই এক মঞ্চনাটক ‘লালজমিন’। মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের এক নারীর সংগ্রামী জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে এই মঞ্চনাটকটি। মান্নান হীরা’র রচনা ও সুদীপ চক্রবর্তী’র নির্দেশনায় শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা ‘লালজমিন’। মূলত একক অভিনীত এই মঞ্চ নাটকটি গত কয়েক বছর ধরে টানা মঞ্চস্থ করে যাচ্ছেন মোমেনা চৌধুরী।
এবার এই নাটকের ৩৩৫ তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় বেইলি রোডের মহিলা সমিতির নিলীমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে।
‘লালজমিন’ নাটকের গল্প মুক্তিযুদ্ধের একটি খন্ড-চিত্রের বয়ান। মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন কিশোরীর অংশগ্রহণ, গল্পের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধের ভয়াবহতা, মেয়েটির ত্যাগ- সবশেষে স্বাধীনতা অর্জন, দর্শকদের এক নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখে দাঁড় করিয়ে দেয় ‘লালজমিন’।
মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ লালজমিন। তেরো পেরিয়ে চৌদ্দ বছর ছুঁই ছুঁই এক কিশোরী কন্যার গল্প এটি। কিশোরীর দুই চোখ জুড়ে মানিক বিলের লাল পদ্মের জন্য প্রেম। সে তার কৈশোরেই শোনে বাবা-মায়ের মধ্যরাতের গুঞ্জন। শুধু দুটি শব্দ কিশোরীর মস্তিষ্কে আর মনে জেগে থাকে, মুক্তি-স্বাধীনতা। বাবা যুদ্ধে চলে যায় অগোচরে। কিশোরী নানা কৌশলে যুদ্ধে যাওয়ার আয়োজন করে। বয়স তাকে অনুমোদন দেয় না। এরপর যুক্ত হয়েছে বিগত ৪২ বছরে বাংলাদেশের যুদ্ধোত্তর সেই ঘাতক দালালদের বৃত্তান্ত ও একজন মুক্তিযোদ্ধা নারীর উপলব্ধি। যা দর্শকদের বর্তমানের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে।
নাটকটিতে মোমেনা চৌধুরীর একক অভিনয় দর্শক-শ্রোতার মন ছুঁয়ে যায়। সবাইকে তিনি নাটকটি উপভোগ করতে আমন্ত্রণ জানান।
২০১১ সালের ১৯ মে নাটমন্ডলে ‘লালজমিন’ নাটকটি প্রথম মঞ্চায়ন হয়। সেই থেকে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ও বিদেশের মাটিতে একের পর এক নাটকটির মঞ্চায়ন হয়ে আসছে।
এমএম//