ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

বিচারপতি কে এম সোবহান মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৫৩ পিএম, ২ জানুয়ারি ২০২৪ মঙ্গলবার

প্রয়াত বিচারপতি কে এম সোবহানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ। সংগঠনের পক্ষ থেকে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। জাতির এক ক্রান্তিকালে বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ছিলেন প্রয়াত এই বিচারপতি। 

বিচারপতি কে এম সোবহান কোলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ, তারপর এলএলবি এবং ১৯৫২ সালে যুক্তরাজ্যের লিংকনস্ ইন থেকে বার-এট-ল পাশ করে ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত হন। 

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন। বিচার কাজে অত্যন্ত বিচক্ষণতা ও সুনাম অর্জনের কারণে তিনি ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে আপিল বিভাগের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তিনি ডেপুটেশনে ১৯৮০ থেকে ১৯৮২ সময়কালে পূর্ব জার্মানির ও চেকোস্লোভাকিয়াতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। 

এরপর সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ ১৯৮২ সালে তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় নিয়োগ দেন এবং মাত্র ১৬ দিন পর তাঁকে চাকরি থেকে অপসারণ করেন। তিনি চাকরিতে থাকলে জ্যেষ্ঠতা অনুযায়ী আর কিছুদিন পর বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি হতে পারতেন। ২০০৭ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। 

বাংলাদেশে মানবাধিকারের অন্যতম প্রবক্তা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী এই মানুষটি জাতির অত্যন্ত কঠিন সময়গুলোতে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী এবং যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দাবীতে একজন নির্ভীক সম্মুখ সারির যোদ্ধা ছিলেন। 

তিনি এ সংক্রান্ত আইনগুলোর খসড়া প্রণয়নে তিনি বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখেন। এরপর বাংলাদেশে মৌলবাদবিরোধী আন্দোলনের একজন ধ্রুবতারাসুলভ এই মানুষটি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।