ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

রামগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সচিবের ওপর হামলা-আহত-৬

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৪৬ পিএম, ৮ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী সদস্য সচিবের ওপর অতর্কিত হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর (ঈগল) নির্বাচন পলিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আওয়ামী লীগ নেতা শামছুল হক মিজান শারীরিকভাবে আহত হয়েছেন। এসময় ৩ জন সংবাদকর্মীসহ মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। 

রোববার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে এগারোটায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের নির্বাচনী এলাকার ইছাপুর ইউনিয়নের পূর্ব সোন্দড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে সরকারি রাস্তায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। 

এই ঘটনায় রোববার সন্ধ্যায় আহত সামচুল হক মিজান বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে ১নং বিবাদীসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জনকে আসামি করে থানায় এজাহার দিয়েছেন। আহত সামচুল হক মিজান রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হাবিবুর রহমান পবনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব। 

আহত অন্যরা হলেন পূর্ব সেন্দড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ঈগল মার্কার চীপ এজেন্ট আনোয়ার হোসেন, আহত সামচুল হক মিজানের গাড়ী চালক লোকমান হোসেন, সংবাদকর্মী মিজানুর শামীম, হাসানুর জামান, ইকবাল খন্দকার শান্ত। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় শামছুল হক মিজানসহ অন্যরা ভোটকেন্দ্রের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এসময় জাকির ওরফে হাজি জাকির দলবল নিয়ে হামলা চালায়। একপর্যায়ে মিজানের ব্যক্তিগত গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করা হয়। ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক ইকবাল খন্দকারের মোবাইল ভেঙে ফেলে।

আহত শামছুল হক মিজান বলেন, "সকাল আনুমানিক ০৮:৪৫-এর সময় আহত আনোয়ার হোসেন আমাকে ফোন করে জানায়, নৌকার লোকেরা তাকে মারধর করে ভোট কেন্দ্র থেকে জোর করে বের করে দিয়েছে। এ খবর শুনে আমি ১১.৩০ মিনিটের সময়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতেছিলাম। এমন সময় আমি কিছু বুঝার আগেই মুহূর্তের মধ্যে ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি, উপজেলা বিএনপির সাবেক শিল্প বিষয়ক সম্পাদক জাকিরের নেতৃত্বে অজ্ঞাত ১৫/২০ জন আমার উপর হামলা চালায়। 

"এসময় জাকির আমাকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে তার হাতে থাকা ধারালো ছেনি দিয়ে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি হাত দিয়ে ঠেকালেই আঘাতটি আমার বাম চোখের উপরে পরলে মারাত্মকভাবে আহত হই। হামলায় নেতৃত্বদানকারী জাকির সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত। এতে আমরা রক্তাক্ত হই ও আমার ব্যক্তিগত গাড়িটিও সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানিয়েছি, মামলার এজাহার থানায় জমা দিয়েছি।"

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে জাকির হোসেনকে একাধিকবার ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।

রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সামচুল হক মিজান হামলা-ভাঙচুরের ঘটনাটি আমাকে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএম//