দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ১০ জানুয়ারি ২০২৪ বুধবার
চুয়াডাঙ্গায় জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ভোর থেকে বেলা ১২টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মতো ঝরছে কুয়াশা। এমন কনকনে ঠাণ্ডায় চরম বিপাকে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষ।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) সকালে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। মধ্যরাত থেকে অনেক বেলা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকে চারদিক। ফলে এসময় হেড লাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। শীতের কারণে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে শিশু ও বয়স্কদের।
হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর আধিক্য। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া সমস্যা নিয়ে রোগীরা হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
শীতের কারণে অনেকে প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। জীবিকার তাগিদে শ্রমজীবীরা শীত উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন। শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষ শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে বাড়ির আঙিনা ও ফুটপাতসহ চায়ের দোকানের চুলায় বসে আগুন পোহাচ্ছেন।
স্থানীয়রা বলছেন, দিনের তুলনায় রাতে শীত বাড়ছে কয়েক গুণ। অনেকেই ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় শিশু ও বৃদ্ধরা। ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। দুর্ভোগ বেড়েছে গবাদিপশুরও।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা ডিঙ্গেদহের বাসিন্দা দিনমজুর শমসের আলি বলেন, “তিন দিন ধরে খুব কুয়াশা পড়তেছে, সঙ্গে কনকনে শীত। কাম-কাজ করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। আগুনের তাপ দিয়েও শীত যাচ্ছেনা।”
রিক্সাচালক আইনাল মণ্ডল বলেন, 'সকাল আর রাতে বেশি ঠাণ্ডা লাগছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত সূর্যের দেখাই নাই। সূর্য না ওঠায় কনকনে ঠাণ্ডা অনুভূত হচ্ছে। ভাড়া মারতে পারছি না। এখন আমরা খাব কি? সরকারিভাবে সহায়তা না পেলে না খেয়ে থাকতে হবে।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, বুধবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানান তিনি।
এএইচ