সাংবাদিক মিজানুর রহমানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০২:০১ পিএম, ১১ জানুয়ারি ২০২৪ বৃহস্পতিবার
সংবিধান ও আইন বিশেষজ্ঞ, লেখক ও গবেষক সাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২১ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর মহাখালীর এক বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তাকে ঢাকার মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘মিজানুর রহমান খান ফাউন্ডেশন’ ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে কবর জিয়ারত ও শ্রদ্ধা নিবেদন এবং শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ঝালকাঠি জেলার নলছিটি পৌরসভার স্টেশন রোডে প্রয়াতের বাড়িতে কুরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝালকাঠীর পৌর সিটি পার্কের ভেতরে দৈনিক আমাদের বার্তার অফিসে শুক্রবার বিকেলে আলোচনা স্মরণসভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
মিজানুর রহমান খান দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগে সংবিধান বিষয় পড়াতেন। আইন-আদালত ও কূটনীতির জটিল-কঠিন বিষয়গুলো তিনি সহজ করে পাঠকের কাছে উপস্থাপন ও ব্যাখ্যা করেছেন। যেগুলো দৈনিক যুগান্তর, সমকাল, মানবজমিন, প্রথম আলো, বাংলাবাজার, মুক্তকণ্ঠ ইত্যাদি পত্রিকার মাধ্যমে পাঠকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
মাত্র ২৭ বছর বয়সে ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তাঁর প্রথম বই ‘সংবিধান ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিতর্ক’ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে জনপ্রিয় হয়। মিজানুর রহমান খানের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে- ১৯৭১: আমেরিকার গোপন দলিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা: এক অশনি সংকেত; বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকটের স্বরূপ; মার্কিন দলিলে মুজিব হত্যাকাণ্ড; মার্কিন দলিলে জিয়া ও মঞ্জুর হত্যাকাণ্ড; এরশাদের পতন এবং বিএনপির জন্ম; মার্কিন দলিলে বঙ্গবন্ধু ও চার নেতা হত্যাকাণ্ড, জেনারেল জ্যাকবের মুখোমুখি ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন জার্নালে তাঁর পঞ্চাশটির বেশি প্রকাশিত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়।ে
মিজানুর রহমান খানের গবেষণায় ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রথমবারের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলের সন্ধান পাওয়া যায়। যেখানে একাত্তরে বুদ্ধিজীবী হত্যার বিষয়ে তৎকালীন ঢাকায় অবস্থিত আমেরিকান কনস্যুলেট একটি তদন্ত প্রতিবেদন করেছিল বলে জানা যায়। ওই তদন্তে তারা জানায়, বুদ্ধিজীবী হত্যায় জামায়াতে ইসলামী জড়িত ছিল। এনিয়ে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দল চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের বিচারের সময় মিজানুর রহমান খানের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল।
এএইচ