জাতীয় সংসদের কাছে প্রত্যাশা (ভিডিও)
শাকেরা আরজু
প্রকাশিত : ০৩:৩৪ পিএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার
অপরাধ দমনে আইন প্রণয়ন ও শ্রম আইনের শাস্তি বাড়াতে জাতীয় সংসদকে আহ্বান জানিয়েছেন জেষ্ঠ্য আইনজীবীরা। জনগণের সুখ-দুঃখের বিষয়টি মাথায় রেখে আইন প্রণয়নেরও আহ্বান তাদের।
জাতীয় সংসদ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইনসভা। এককক্ষ বিশিষ্ট এই সংসদের সদস্য সংখ্যা ৩৫০।
প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন হলেও নির্বাহী বিভাগের কার্যক্রমও তদারকি করে জাতীয় সংসদ। প্রতিবছর বাজেট পাস করা ছাড়া আরও বেশ কিছু দায়িত্ব পালন করে থাকে সংসদ।
সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “জনগণের জন্য আইন প্রণয়ন করা, আইন সংশোধন করা, প্রয়োজনে সংবিধান সংশোধন জাতীয় সংসদের কাজ। শ্রম আইনের সাজা হলো ৩০৩(ঙ)তে ৬ মাস, এটাকে বাড়িয়ে তিন বছর করা উচিত। কাজেই এই বিষয়গুলো পার্লামেন্ট ভালো করে দেখবে।”
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন হয়। তারপর পঞ্চাশ বছরে সংসদের সাফল্য যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে সমালোচনাও।
ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত বলেন, “সংসদ হচ্ছে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থার বড় সৌন্দর্য। ৭২ সংবিধানের প্রথমেই সংসদীয় শাসন ব্যবস্থা রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য মূল বিধান ছিল এবং পরবর্তীতে সেটি ১৫তম সংশোধনীর মধ্যদিয়ে ৭২’র সংবিধানে চলে আসা।”
সংসদকে অর্থবহ ও কার্যকর করতে হলে প্রয়োজন সৎ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন সংসদ সদস্য- বলছিলেন আইনজীবীরা।
সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “তাদের নিজস্ব এলাকার যে সমস্যা সেগুলো পার্লামেন্টে তুলে ধরা এবং তুলে ধরে জনমতের প্রতিফলন করতে হবে। আর সেটা হবে তাদের মুখ্য কাজ।”
জনগণের সমস্যা সমাধানে যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের উপর জোর দেন আইন বিশেষজ্ঞরা।
অমিত দাস গুপ্ত বলেন, “সংবিধান পরিপন্থী কোনো আইন তারা প্রণয়ন করতে পারেনা। সংসদ ইচ্ছা করলেই যে কোনো বিষয়কে পরিবর্তন করতে পারেনা।”
জাতীয় সংসদ জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা-আকাঙক্ষার সফল বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে- এমন আশা সিনিয়র আইনজীবীদের।
এএইচ