ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য সাকরাইন উৎসব আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০৩ এএম, ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ রবিবার

আজ ১৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে থাকে পুরান ঢাকাবাসী।

রোববার থেকে তিনদিনব্যাপী চলবে এ উৎসব।

আজ বিকালে রাজধানীর বকশি বাজারে ঢাকা টাওয়ার, উর্দু রোডসহ ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির চাঁদে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হবে। ঘড়ি উৎসবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওথমান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ গণমান্য ব্যক্তিরা।

পৌষ মাসের শেষ দিনে নানা রঙের ঘুড়িতে ছেয়ে যায় পুরান ঢাকার আকাশ। এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। সাকরাইনে ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পুরান ঢাকার বাড়িগুলোর ছাদ থেকে শুরু হয় ঘুড়ি ওড়ানো। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আকাশ ছেয়ে যায় নানা রঙের ঘুড়িতে। আর সন্ধ্যার পর শুরু হয় আতশবাজি, আগুনের খেলা।

প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে বয়ে চলছে ঢাকা। সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসব তেমনই একটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এ উৎসব যুগ যুগ ধরে বহন করে চলছে ঢাকাবাসী। মূলত পৌষ সংক্রান্তি বা পৌষের শীতের আমেজকে বাড়তি মাত্রা দিতে ঘুড়ি উড়ানোকে কেন্দ্র করে সাকরাইন উৎসব পালিত হয়। 

বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে পুরান ঢাকাবাসী। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি আর রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে সাকরাইন উৎসবকে আনন্দঘন করে তোলা হয়।

কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এমনকি বয়োবৃদ্ধরাও এ উৎসবে শামিল হন। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বিভিন্ন আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন।

সাকরাইনের ঘুড়ি তৈরিতে রয়েছে শৈল্পিক নিদর্শন। সঠিক মাপে ঘুড়ি তৈরি করতে না পারলে ঘুড়ি আকাশের নীল রঙ ধরতে পারবে না। এজন্য বাহারি রঙের ঘুড়ি তৈরি করা হয় সাকরাইন উৎসবে। সেগুলোর মধ্যে গোয়াদার, চোকদার, মাসদার, গরুদান, লেজলম্বা, চারভুয়াদার, পানদার, লেনঠনদার, গায়েল ঘুড়িগুলো অন্যতম।

ইতিমধ্যে ঢাকার লক্ষ্মীবাজার, নারিন্দা, ওয়ারী, সূত্রাপুর ও শাঁখারীবাজারের বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ির অস্থায়ী দোকান বসেছে। স্থায়ী দোকানগুলো তো আছেই। এর পাশাপাশি অলিগলি ও প্রধান সড়কের পাশে ফুটপাতেও বিক্রেতারা নানা রঙের ঘুড়ির পসরা সাজিয়ে বসেছেন।  

এএইচ