ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

৭ জানুয়ারির নির্বাচন আ.লীগের বিপুল জনসমর্থনের প্রমাণ দেয় : প্রধানমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৪০ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার | আপডেট: ০৭:৪০ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর দলের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস থাকায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থন পেয়েছেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের মতো একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল থাকায় আমরা জনগণের সমর্থন, আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। এবারের নির্বাচনে সে বাস্তবতার ব্যাপক প্রতিফলন ঘটেছে।”

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভেনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর দলের কেন্দ্রীয় কার্যনিবাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় দেওয়া প্রারম্ভিক ভাষণে একথা বলেন।

তিনি বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের মতো একটি শক্তিশালী সংগঠন আমার সাথে আছে বলেই জনগণের আওয়ামী লীগের প্রতি যে সমর্থন, বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে এবারকার নির্বাচনে তার ব্যাপক প্রতিফলন ঘটেছে। কারণ, একজন সাধারণ মানুষ তারা কিন্তু আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে। অন্য কারো ওপর তাদের সেই বিশ্বাস ও আস্থা নাই। কাজেই তাদের যে আকাক্সক্ষা, সেটা আমাদের পূরণ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, সাধারণ মানুুষেরা-ওই যে খেটে খাওয়া মানুষ গরিব কৃষক, খেটে খাওয়া মানুষ, রিক্সাওয়ালার থেকে শুরু করে দিন মজুর তাদের ভাগ্য কিভাবে পরিবর্তন করব, তাদের জীবন মান কিভাবে উন্নত করব-সেটাই আমাদের মাথায় সবসময় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের সেটাই শিখিয়েছেন। আর সেভাবেই আমাদের চলতে হবে।
আওয়ামী লীগ একটি বড় দল এবং সংগঠন পাশে না থাকেলে কোনকিছু অর্জন সম্ভব ছিল না উল্লেখ করে দলটির সভাপতি বলেন, প্রত্যেকটা সাফল্যের পেছনে একটা শক্তি দরকার। আমার শক্তি বাংলাদেশের জনগণ, আওয়ামী লীগ এবং আমাদের সহযোগী সংগঠনগুলো।

তিনি বলেন, সকলের সঙ্গে আমরা নির্বাচন করেছি। কেউ হেরেছে অথবা কেউ জিতেছে। কারো কষ্ট আছে, আবার কারো আনন্দ আছে। কিন্তু ওই আনন্দ, দুঃখ, কষ্ট, হাসি, কান্না সবকিছু মিলিয়ে আমাদের চলতে হবে। জনগণের স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে মানুষের জন্য সবাইকে আবার এক হয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস আমরা অর্জন করেছি সেটা যেন কোন মতে হারিয়ে না যায়।

তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসি ও জঙ্গিবাদি গোষ্ঠী যারা রেলগাড়িতে আগুন দিয়ে মা ও সন্তান শিশুকে পুড়িয়ে মারে,  বাসে আগুন দিয়ে মানুষ মারে, রেলের ফিসপ্লেট খুলে রেল ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যার জন্য ফাঁদ পাতে তাদের বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের মিথ্যাচার এবং এই সন্ত্রাসী কর্মকা- দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে। যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় অর্থাৎ তারা গণতান্ত্রিক পরিবেশেই চায় না, গণতন্ত্র চায় না, নির্বাচন চায় না, তারা দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু। তাদেরকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এদের কথা ছেড়ে দিয়ে আমাদের দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা লিফলেট বিলি করেছে মানুষ যাতে ভোটকেন্দ্রে না যায়। লিফট যত বেশি বিলি করেছে মানুষ তত বেশি ভোটকেন্দ্রে গিয়েছে। তাদের কথায় মানুষ সাড়া দেয়নি। এই যে মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস সেটা আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে।

বাংলাদেশের উন্নয়নের বৃত্তান্ত তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ যদি তাকে ‘৮১ সালে না ডাকতো এবং দায়িত্ব না দিত তাহলে তিনি আজকের অবস্থানে পৌঁছতে বা দেশের উন্নতি করতে পারতেন না। কাজেই এই আওয়ামী লীগ অফিস এটাই তার মূল শেকড়। এজন্য দলের অগনিত নেতা-কর্মীর প্রতি তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এক সময়ের আন্দোলন-সংগ্রামের সারথী যারা আজকে নেই তাঁদেরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

“এখান থেকে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম সবকিছু শুরু। এই অফিসের সঙ্গে আমার জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িত,” বলেন তিনি ।
ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর গত কয়েকদিনে তাঁর বিভিন্ন কর্মসূচির উল্লেখ করে তিনি বলেন, কর্মীদের নিয়ে গণভবনে বৈঠক করতে পারতেন কিন্তু ভেবেছেন না তাঁর যেখানে মূল শেকড় সেখানে তাকে আসতেই হবে, সেজন্যই এই অফিসে তার আগমন।